উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়্যারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। উল্লাপাড়ার উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্থানীয় সরকার/ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীগণের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বঞ্চিত যে ব্যক্তিগণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আগামী ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং আ.লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৬ (ঠ) উপধারা মোতাবেক তাদেরকে সরাসরি দলীয় সকল পর্যায়ের পদ ও সদস্য হতে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং যারা দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদেরকেও বহিষ্কার করা হবে। বাংলাদেশ আ.লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী বহিষ্কৃত প্রার্থীরা হচ্ছে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও কয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী মোঃ খোরশেদ আলম, মোহনপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ মক্কা, পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম রাশেদুল হাসান রাশেদ, উধুনিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুল জলিল, বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আলতাব হোসেন, সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোজাম্মেল হক, দুর্গানগর ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুস ছামাদ, বাঙ্গালা ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও বাঙ্গালা ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইউনুস আলী নসুকে দলীয় সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কৃতরা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কৃত হলেন। গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে উল্লাপাড়া উপজেলা আ.লীগে তীব্র কোন্দল শুরু হয়েছে। এরপর থেকে উল্লাপাড়া উপজেলা আ.লীগ বর্তমান এমপি তানভীর ইমাম ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব গাজী শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে। উল্লাপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে ১৪টি ইউনিয়নে তৃণমূলের ভোটে দলীয় প্রার্থী বাছাই হলেও কেন্দ্রে গিয়ে ৪টি ইউনিয়নের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। পরিবর্তীত ইউনিয়নে দলীয় টিকেট পেয়েছেন- মোহনপুরে মির্জা খালিদ ইন্তেজার শক্তি, বড়পাঙ্গাসীতে হুমাউন কবীর লিটন, উধুনিয়াতে রেজাউল করিম বাচ্চু এবং পূর্নিমাগাঁতীতে আলহাজ্ব গাজী খলিলুর রহমান। তৃণমূলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেন্দ্র থেকে নতুন করে দলীয় টিকেট পাওয়া এই প্রার্থীরা সবাই উল্লাপাড়ার সাবেক এমপি শফিকুল ইসলামের সমর্থক। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে কোন্দলে বিভক্ত সাবেক ও বর্তমান এমপির সর্মথক তৃণমূলের আ.লীগের নেতাকর্মীরা এখনো আলাদা পথেই রয়েছে। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে তৃণমূলের সিংহভাগ নেতাকর্মী প্রকাশ্য না হলেও গোপনে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে কোন্দল যেন অনেকটা প্রকাশ্য হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন দলের দলীয় প্রতীক পাওয়া প্রার্থীরা অন্য দলের প্রার্থীর বিপক্ষে মাঠে ভোট যুদ্ধের চেয়ে নিজ দলের বিদ্রোহী এবং কোন্দলে বিভক্ত নেতাকর্মীদের সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন