মেহেদীর রঙ না মুছতেই যৌতুকের বলী হয়েছে ফরিদগঞ্জের উম্মে কুলছুমা আঁখি (২০) নামক গৃহবধুকে । বাপের বাড়িতেই নির্যাতন পূর্বক হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় আঁিখর স্বামী আমানত শাহ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে নিহত আঁিখর ভাই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে রোববার (৫ মে) রাতে আঁিখর স্বামী আমানত শাহ , তার ভাই, ভাবী এবং শাশুড়িসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফনিশাইর গ্রামের বড় সর্দার বাড়ির গোলাম সারওয়ারের মেয়ের উম্মে কুলছুমা আঁিখর বিয়ে হয় । স্বামী আমানত শাহের শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক গ্রামের মাইজের বাড়ির মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
আঁিখর ভাই শাহাদাত জানায়, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য আঁিখর সাথে তার স্বামী ও পরিবারের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ১ মে বুধবার আঁিখ তার বাপের বাড়ি ফরিদগঞ্জে চলে আসে। এরপর গত ৪ মে শনিবার তার স্বামী আমানত শাহ আমাদের বাড়িতে আসে। ওই রাতে আঁিখ ও তার স্বামীর সাথে ঝগড়ার হয়। পরের দিন রোববার (৫ মে) সকালে আঁিখর ঝুলন্ত লাশ ঘরের আড়ার সাথে পরিবারের লোকজন দেখতে পায়। স্বামী আমানত শাহ সকাল হওয়ার আগেই পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, আমানতশাহ তার বড় ভাবীর সাথে দীর্ঘ দিন পরকীয়া ছিল। এ নিয়েই তাদের মাঝে কলহ ছিল। এ ঘটনায় তাদের একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
পুলিশ রোববার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আঁিখর ভাই শাহাদাত বাদী হয়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতন পূর্বক হত্যার অভিযোগ করে ফরিদগঞ্জ থানায় রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাকারিয়া জানান, ময়নাতদন্ত আসলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। তিনি জানান মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন