শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মাহবুবার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

অদম্য মেধাবী

যশোর থেকে শাহেদ রহমান | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাহবুবা খাতুন। কিন্তু জিপিএ-৫ প্রাপ্তির আনন্দে হাসতে পারছে না মাহবুবা। কারণ এসএসসি পাস করলেও কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ রাজমিস্ত্রি পিতার আয়েই চলে তাদের পাঁচ জনের সংসার। এরই মধ্যে রয়েছে তাদের তিন ভাইবোনের লেখাপড়া। তাই ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ তার কপালে।
মাহবুবা এবার যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মধুপুর-বাহাদুরপুর মাধ্যমকি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়েছে। মাহবুবার পিতা আবুল হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রি ও মা বিউটি খাতুন গৃহিনী।
মাহবুবা জানায়, মণিরামপুরে তাদের ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কোনো সহায় সম্পদ নেই। বাবা পরের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন, আর রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বর্গা চাষে ছয় মাসের খাদ্যের সংস্থান হয়। আর বাকিটা সময় চলে রাজমিস্ত্রির পেশায়।
মাহবুবা আরও জানায়, তারা তিনভাই বোন লেখাপড়া করে। বড় বোন হাবিবা খাতুন যশোর সরকারি এমএম কলেজে গণিত বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী। তার লেখাপড়ার খরচ পাঠাতে হয়। আর ছোট ভাই আহম্মদ উল্লাহ ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
দারিদ্র পিতার একার রোজগারে চলে সংসার ও তিন ভাইবোনের লেখাপড়া। সে কারণে অর্থাভাবে সহপাঠীদের মতো ঠিকমতো কোচিং করতে পারেনি। তারপরও অদম্য মেধাবী মাহবুবা খাতুন তার সাফল্য ছিনিয়ে নিয়েছে। এখন তার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু যেখানে বাবাকে অন্য ভাইবোনদেরও লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে তার এই স্বপ্ন কিভাবে পূরণ হবে জানে না সে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন