পবিত্র রমজানে তীব্র তাপদাহে ইফতারির শুরুতে ঠান্ডা পানীয় শরবতে কদর বেড়েছে লেবুর। ইফতারের আগে আসর নামাজের পর পর শহর-গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারে লেবু কেনার ভিড় বাড়ে। রমজানে প্রতি জোড়া লেবুর দাম পনের থেকে বিশ টাকা। প্রতি ডজন ৯০-১২০ টাকা। যা রমজানের আগে ছিল প্রতি জোড়া আকার ও মান ভেদে সর্বোচ্চ ৫-৮টাকা। প্রচন্ড খরতাপের ইফতারির শরবতে সুস্বাদু ও প্রশান্তির জন্য রোজাদারের কাছে লেবুর রসের কদর বেড়েছে পবিত্র রমজানে।
চন্দনাইশের কাঞ্চনগর, লটএলাহাবাদ, হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ ৩নং ব্রিজ, দোহাজারীর জামিজুরী, রায় জোয়ারার এসব পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে লেবু উৎপাদিত হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে লেবুর বাগানের মালিকরা বাগান থেকে লেবু তুলে উপজেলার কাঞ্চননগর রেলস্টেশন, খাঁনহাট রেলস্টেশন, হাশিমপুর রেলস্টেশন, দোহাজারী রেলস্টেশন, লেবু বিক্রি জন্য নিয়ে আসেন। সেখান থেকে লেবু বেপারিরা মালিকদের কাছ থেকে কিনে উপজেলার বিভিন্ন বড়-ছোট হাট বাজার ও গ্রামগঞ্জসহ উত্তরে চট্টগ্রাম শহর দক্ষিণে কক্সবাজার পর্যন্ত বিক্রির জন্য নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে খানঁহাট রেলস্টেশনে লেবু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সাথে এ প্রতিবেদক আলাপকালে তিনি জানান, রমজানের শুরু থেকে গরমের তীব্রতা যত বাড়ছে লেবু কদরও তত বাড়ছে। তবে আগেকার তুলনায় মালিকদের বাগানে লেবু উৎপাদন কম হওয়ায় আমরা তেমন সুযোগ সুবিদা করতে পাচ্ছি না। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় লেবুর দাম একটু বাড়তি। তাছাড়া পবিত্র রমজানে গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় লেবুর চাহিদা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজনের আগে যে দরে মালিকদের কাছ থেকে কেনা হত তা এখন মালিকদের কাছ থেকে লেবু বেপারিদেরকে চড়া দামের কিনতে হচ্ছে। অনেক সময় আয় ব্যায় পুষিয়ে আসতে হিমশিম খেতে হয়। লেবু ব্যবসা করে কোন রকম পরিবার পরিজনের জীবিকা নির্বাহ করে দিনাতিপাত করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন