রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রস্তাবনা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী -বিএসইসি চেয়ারম্যান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৯, ৮:২৮ পিএম

আগামী অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে যা যা প্রয়োজন সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবনা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিএসইসির কার্যালয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।

‘বাজেটে চাওয়ার চেয়েও বেশি প্রদান করা হবে’- অর্থমন্ত্রী এমন আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে খায়রুল হোসেন বলেন, বুধবার (১৫ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রস্তাবনা চেয়েছেন। বাজেটে চাওয়ার চেয়েও বেশি থাকতে পারে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি শেয়ার বাজারের উন্নয়নে সব কিছু করবেন বলেও জানিয়েছেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, শেয়ারবাজারের প্রধান হচ্ছে প্রাইমারি মার্কেট। এই মার্কেটের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন হয়। তবে টাকা হাতবদলের জন্য সেকেন্ডারি মার্কেটের দরকার আছে। আর সেটা যেন সুন্দরভাবে হয়, সে বিষয়টি দেখা কমিশনের দায়িত্ব।

বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গত ২৯ এপ্রিল শেয়ারবাজার নিয়ে গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জনমত জরিপের পরে চূড়ান্ত করা হবে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বৈঠকে স্টেকহোল্ডারদের জানিয়েছেন।

তিনি বলন, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন ঠিক আছে। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জনমত জরিপকে বিবেচনায় নিতে হবে। এক পাক্ষিক সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। একইসঙ্গে পাবলিক ইস্যু রুলসের যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা, সর্বনিম্ন মূলধন উত্তোলনের পরিমাণ ইত্যাদি বিষয়েও সংশোধনীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জনমত জরিপকে বিবেচনায় নেয়া হবে।

এর আগে ২৯ এপ্রিল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কমিশনের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আইপিওকালীন সকল শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন থাকবে, লক-ইন প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রকাশের দিনের পরিবর্তে লেনদেন শুরুর দিন থেকে গণনা করা হবে।

আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা ও বুক বিল্ডিং মেথডে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং বুক বিল্ডিং মেথডে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা, শেয়ারবাজারে সক্রিয় নয় এমন ডিলার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মার্চেন্ট ব্যাংকস ইত্যাদিকে যোগ্য বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন