শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দেবরের হাতে ভাবী ও ভাতিজা খুন

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নাটোরে ভাবী ও ভাতিজাকে খুন করেছে দেওর। নাটোরের নলডাঙ্গায় প্রতিবন্ধী শিশু ভাতিজা আব্দুল্লাহর কান্না ও চেঁচামেচিতে বিরক্ত হয়ে ভাবী শারমিন বেগম ও প্রতিবন্ধী শিশু ভাতিজা আব্দুল্লাহকে খুন করেছে দেবর মাহাবুল আলম মুক্তা (২৩)।
মা ও শিশু ছেলেকে খুনের ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের দেওর মাহাবুল আলম মুক্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, পারিবারিক কলহে ভাবী শারমিন বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন দেবর মাহাবুল আলম মুক্তা।
এছাড়া প্রতিবন্ধী শিশু ভাতিজা আব্দুল্লাহ’র নিয়মিত চিৎকার চেঁচামেচিতে বিরক্ত ছিল মুক্তা। এ জন্যই ভাই মাহমুদুল হাসান মুন্নার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যা করে দেওর মুক্তা। হত্যার পরেই পুলিশ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের জন্য নানামুখী অভিযান শুরু করে। পরে এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দেওর মাহাবুল আলম মুক্তা ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগমকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুল আলম মুক্তা তার ভাবী ও ভাতিজাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এর আগে বুধবার সকালে নাটোরের নলডাঙ্গার বাঁশিলা উত্তরপাড়া গ্রাম থেকে মা শারমিন বেগম ও তার দুই বছরের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত শারমিন বেগমের বাবা একই উপজেলার হলিদা কলসি গ্রামের ওমর আলী বাদী হয়ে নিহতের দেওর মাহাবুল আলম মুক্তাকে আসামী করে নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার পর ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বাড়ির সব ঘর বাহির থেকে আটকে দিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকে অন্য কেউ হত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয় এবং বাড়ির লোকজন ঘরের ভিতরে থেকে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত সহ পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন