সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের বখড়া আদায় অব্যাহত রয়েছে। যানজট নিরসনে কাজ না করে বাড়তি অর্থ আদায়ে জড়িয়ে পড়েছে ট্রাফিক বিভাগ। এ অভিযোগ করেন শহরের সচেতন মহল। শহরের পাঁচমাথা মোড়, মদিনা হোটেল মোড়, বাস-টার্মিনাল মোড়ে এ বখড়া আদায়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। বখড়া আদায় শুরু হয় সকাল থেকে চলে রাত পর্যন্ত। এরই প্রতিবাদে আগামি ১ জুন নীলফামারী জেলা ট্রাক ট্যাঙ্কলড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘটে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই বখড়া আদায়ের কাজে নিয়োজিত রয়েছে কিছু লোক। এদের মাধ্যমেই মূলত ট্রাফিক বিভাগ বাড়তি অর্থ আদায় করে থাকে। যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ আয়। ট্রাফিক বিভাগের রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও এখানে তা থেমে নেই। বর্তমানে ঢাকাগামী বাঁশের ট্রাক থেকে নেয়া হয় ২৫০ টাকা। রাস্তায় চলাচলকারী ট্রাক্টর থেকে ৫০ টাকা, ট্রলি থেকে ৩০ টাকা, ভটভটি থেকে ৫০ টাকা, বাইরের জেলা থেকে আসা গাড়ি থেকে ২০০ টাকা, গরুর ট্রাক থেকে ৩০০ টাকা। অনেক সময় চালকরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাঁধে ঝগড়া। ফলে টাকা তুলতে গিয়ে রাস্তায় লেগে যায় যানজট। শহরের বাস টার্মিনাল ট্রাফিক মোড়ে গেলে এ সকল দৃশ্য চোখে পড়বে। ইতোপূর্বে বাস টার্মিনাল মোড়ে প্রাণ গেছে বেশ কয়েকজন পথচারীর। তাছাড়া পাঁচমাথা মোড়ে প্রাণ গেছে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের। তারপরেও টনক নড়েনি ট্রাফিক পুলিশের। দিনের বেলা শহরে ভারী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বখড়ার কারণে হরহামেশা সকল পকার যানবাহন চলাচল করছে। তাই বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন