ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
কবি জসীম উদ্দীন আসমানিকে চেনাতে ভেন্না পাতার ছায়নির ঘরে অবিরাম বর্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন। আর আকাশে কালো মেঘ হলেই মনে করিয়ে দেয়, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর বাজারের জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগের চিত্র। এ অবস্থা প্রায় দেড় যুগ ধরে। অবশ্য বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উক্ত বাজারে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ করেছেন। কিন্তু তা ছিল অপরিকল্পিত ও নিম্নমানের। এছাড়া হাট-বাজার অব্যবস্থাপনায় আরও বিপন্ন করে তুলেছে পরেবেশ পরিস্থিতি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জনভোগান্তির যেন শেষ নেই উপজেলা সদর বাজারে। জানা যায়, উপজেলা সদর বাজারে রয়েছে প্রায় এক হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০ একর জায়গার ওপর মূল বাজার ছাড়াও পশ্চিম দিকের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত হাসপাতাল রোডের দু’ধারে রয়েছে আরও ২শ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পূর্ব দিকের হাই স্কুল রোডের দু’ধারে ১শ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষিণ দিকের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত রয়েছে দেড়শ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব রাস্তা বা মূল বাজারের ভিতর কোনো অংশে ভাল ড্রেনেজ ব্যবসা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে উপজেলা বাজার জামে মসজিদের তিন রাস্তার মোড়ে, হাসপাতাল রোডের ‘মুক্তা কড়াত মিল’ এর সামনের রাস্তায় এবং বাস স্ট্যান্ড রোডে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। দিনের পর দিন রাস্তার উপর পানি আটকে থেকে ময়লা-আবর্জনা পচে সৃষ্টি করছে বিষণœ পরিবেশ। এছাড়া প্রতি হাটবারে বাজারের ড্রেনের উপর দিয়ে বসছে ফল বিক্রেতারা। হাট শেষে তারা ফেলে যাচ্ছে লিচুর পরিত্যক্ত পাতা, আনরসের কা- ও বিনষ্ট বাঙ্গি-তরমুজ। এসব ফলের পরিত্যক্ত ছাল বাকল বাজারে পড়ে থাকছে দিনে পর দিন। আর সেই সাথে বৃষ্টি হলেই পনির কোপে ফলের ছাল বাকল গিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল করে দিচ্ছে। এতে বাজারে দেখা দিচ্ছে অস্বাস্থ্যকর জলাবদ্ধতা। উক্ত বাজার মসজিদের সামনে মুদি মনোহারী দোকান মালিক ফয়েজ দেওয়ান (৫৫) জানান, বাজার ঝাড়–দাররা অত্যন্ত বৃদ্ধ ও রুগ্নসুকè লোক। সে শুধু মাঝে মধ্যে এসে দোকান দোকান থেকে টাকাই নিয়ে যায় কিন্তু কোনো কাজ করেন না। আর উক্ত বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মোল্যা বলেন, যারা ফলের হাট ইজারা নিয়েছেন, তারা শুধু টোল আদায়ের কাজেই ব্যস্ত থাকেন। বাজারের পরিবেশ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই, ফলে জলাবদ্ধতা কাটছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন