কাউন্সিল অফ ইউরোপের ইয়ুথ ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন দেশ থেকে যুবকদের ইয়ুথ এম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচিত করে কনফারেন্সে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। আমন্ত্রিত ৫৭টি দেশের যুবকরা এতে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে ইয়ুথ এম্বাসেডর হিসেবে একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন করে আমন্ত্রণ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র মোসাদ্দেক বিল্লাহকে। এই মেধাবী ছাত্রের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জে। সংগঠনের চাহিদা মোতাবেক আবেদন করে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হন।
এরপর তিনি ১৬ নভেম্বর ২০১৫ ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে “স্বাধীনতা বনাম নিয়ন্ত্রণ : একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া” সেøাগান নিয়ে ইউরোপের বৃহৎ সংগঠন ‘কাউন্সিল অব ইউরোপ’ আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি ২০১৫’ আন্তর্জাতিক যোগ দেন।
এই ফোরামের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, গণতান্ত্রকি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মিডিয়ার স্বাধীনতাকে গেরান্টি প্রদানের পথগুলো খুঁজে বের করা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহিংসতা এবং চরমপন্থাকে মোকাবেলা করে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক নেতা ও সামাজকি প্রবর্তকদের সাথে গঠনমূলক বির্তকের মাধ্যমে পথ খুঁজে বের করা। ফোরামে অংশগ্রহণকারী সামাজিক নেতা ও যুব নেতাদের পারস্পারকি আলোচনা ও মতামত বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুন আইডিয়া উপাস্থপন।
এছাড়া এই কনফারেন্সে অন্যান্য যুবকরা- আলবেনিয়া, আফগানিস্থান, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, ক্যামরুন, কানাডা, কলম্বিয়া, জার্মানি, গ্রীস, ভারত, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, ইসরাঈল, ফিলিস্থিন, ইতালী, ফিলিফাইন, মালোশিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্পেন, সুইডেন, তুর্কি ও ইউএসএসহ ৫৭টি দেশ থেকে এসেছেন। আমন্ত্রিত যুবকরা থেকেছেন ইউরোপিয়ান ইয়ুথ সেন্টারে।
মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, দেশের প্রতিনিধিত্ব করে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হলাম এই কানফারেন্সের মধ্য দিয়ে। নভেম্বরের ২০ তারিখে কনফারেন্স শেষ করে তিনি দেশে ফিরেন।
ষ আমির সোহেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন