পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ ও ঘনবসতি এলাকায় মেশিন স্থাপন করে হলুদ-মরিচ গুড়ো করায় ঝাঁঝালো গন্ধে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌরশহরের লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন ঘনবসতি এলাকায় একাধীক ব্যবসায়ী ভিক্তিতে মেশিন স্থাপন করে হলুদ-মরিচ গুড়ো করছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে আগত সর্বস্তরের মানুষ হলুদ মরিচের ঝাঝালো গন্ধে শ্বাস কস্ট, হাঁচি-কাঁশিসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে গুড়ো মেশিন স্থাপন করে ক্ষুদ্র মিল মালিকরা কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব ভ‚মিকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরশহরের লঞ্চঘাট এলাকায় জড়াজীর্ণ টিনের ঘরে তিন/চারটি মেশিন দিয়ে চাল, হলুদ-মরিচ গুড়ো করছে। এসময় ওই গুড়ো মেশিন ঘরের আশ পাশের মানুষ হাঁচি,কাঁশি এবং কেউ কেউ শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হয়ে দিগ-বেদিক অবস্থায় ছুটে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়িরা রয়েছে চরম বিপর্যস্ত অবস্থায়।
আ. ছালাম হাওলাদার জানান, আমরা চড়ম বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছি এখানে। একটি ঘরের মধ্যে তিনটি মেশিন স্থাপন করে দিন রাত সমহারে গুড়ো করছে হলুদ-মরিচ। যখন মেশিন চালু করে তখন আমাদের শ্বাঁস করতে চরম কষ্ট হয়।
প্রতিবেশী নরেন্দ্র পাল জানায়, ঝাঁঝালো গন্ধে বাসার শিশুরা কান্না কাটি করে। শ্বাস নিতে পারে না। এ যেন আমরা কোন এক মগের মুল্লুকে বসবাস করছি। উম্মুক্ত অবস্থায় হলুদ-মরিচ গুড়ো করা বন্ধের জন্য বলা হলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না মেশিন মালিকরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ফোরকান শিকদার জানায়, রমজানের মধ্যে রোজা রেখে এই পরিবেশে টিকে থাকা যায় না। যখন মেশিন দিয়ে হলুদ-মরিচ গুড়ো করে তখন প্রায় দম বন্ধ হয়ে আসে। রোদার হিসেবে খুব কস্ট হয়।
এ ব্যাপারে হলুদ-মরিচ গুড়ো মেশিন মালিক মালিক মো. মহিবুল্লাহ জানায়, আমরা ২০ বছর ধরে এখানে হলুদ-মরিচ গুড়ো করে আসছি। আমার মেশিন বিল্ডিংয়ের ভেতর।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় হাওদার জানায়, ঘন জনবসতি এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হলুদ-মরিচ গুড়োর মেশিন স্থাপনের কারনে শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষের এলার্জি, শ্বাস কষ্ট, স্কিন সমস্যাসহ শরীরের নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ ধরনের মেশিন শহরের আবাসিক এলাকার বাইরে স্থাপন করা হলে জনগণ স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন