টি এম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে
বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচে জেগে ওঠা চরে গড়ে উঠেছে বসতি, গো-খামার। চলতি মৌসুমে বিশাল এই চরে চাষাবাদ হচ্ছে ধান, পাট, কাউন, তিল, বাদামসহ নানা শাকসবজি। চরের বিস্তৃতি বাড়ার পাশাপাশি তা স্থায়ী চরেও পরিণত হয়েছে। ফলে এখানে মানুষের বসতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিও চাঙা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর দক্ষিণ এলাকায় প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমি মানুষের বসবাসোপযোগী বলে জানা যায়। ফলে এসব চরে দিন দিন জনবসতি বাড়ছে। এর সঙ্গে সেখানে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গরু-মহিষের খামার। এতে পাল্টে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার চরাঞ্চলের অর্থনীতি। খামার মালিক আমজাদ হোসেন জানান, বর্তমানে গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের সেসব লাগে না। কেন না এখানে পর্যাপ্ত ঘাস ও বিচালি থাকায় আমরা গরু-মহিষকে এগুলো বিনামূল্যে খাওয়াতে পারছি। গো-খামারের সঙ্গে দুগ্ধ কিংবা দুগ্ধজাত শিল্পের সম্ভাবনার কথাও ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিন দেখা যায়, চাষাবাদ করে চরবাসী খুশি থাকলেও অসুখ হলে তারা বিপদে পড়েন। সামান্য জ্বরে একটি প্যারাসিটামল কিনতে তাদের খচর হয় প্রায় ২০০ টাকা। আবার অনেক সময় সে ওষুধও জোটে না। এ ছাড়াও তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এমনকি তারা চরম ঝুঁকির মধ্যে বাস করছেন বলে জানান। কেননা কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী যমুনা সেতুর দক্ষিণ ও উত্তর এলাকা থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে চালু-মাটি তুলছেন। এতে যে কোন সময় তাদের বসতবাড়ি ডুবে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যমুনা সেতু এলাকায় নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক করতে না পারলে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধসহ অনেক গ্রাম জনপদ বিলীন হয়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন