পাবনার হাট-বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য ইফতার ও সেহরির উপযোগী সেসব পণ্যের দাম বেড়েছে বেশী। দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে গরিব, মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়য়ের মানুষদের। চাল, ডাল, ছোলা, রসুন, পেঁয়াজ, আলু, মুরগী, গরু-খাসির গোশতের দাম বেড়েছে। তবে সোয়াবিনের তেল এখনও স্বাভাবিক। যে কোন সময় সিন্ডিকেট করে তেলের দামও বাড়াতে পারে অধিক মুনাফাখোররা। ক্রেতা সাধারণ এই রকম ধারণা করছেন।
সবজির বাজার গরমও হয়ে ওঠছে গ্রীষ্মের খরতাপের মত। সকল পণ্যই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে। কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুন। দু’তিন দিনের মাথায় বাজারের এই লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও চেম্বার অব কমার্সের সাথে পাবনার ব্যবসায়ীরা রোজার কয়েক দিন আগে বৈঠক করেন। ব্যবসায়ীরা জানান, পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্যেও দাম কোনভাবেই বৃদ্ধি করবেন না। মূল্য তালিকা বাজার-দোকেনে ঝুলিয়ে রাখার বিষয়টিসহ ব্যবসায়ীদের কর্তব্যের বিষয়গুলো জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে। কিন্তু তালিকা মূল্যে পণ্য কেনা যাচ্ছে না। বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। এই মাসে বেশ কিছু নিত্য পণ্যের চাহিদা বাড়ে। এর মধ্যে ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, খেজুর ও চিনিসহ নানা পণ্য রয়েছে। সবজির চাহিদা বাড়ে। এরই মধ্যে অস্থিও হয়ে ওঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, সবজি এবং ফলমূলের। রমজানকে কেন্দ্র করে ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত না থাকায় পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশী দামে পণ্য বিক্রি করছেন। ফলে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরা বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বাজার মনিটরিং এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা না করায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে জেলা প্রশাসন ও চেম্বার এই কথা অস্বীকার করে বলেন, বাজার মনিটরিং রয়েছে। তাঁরা চলে আসার পর কোন কোন স্থানে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াতে পারে। ঠিকমতো অভিযোগ পাওয়া গেলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন