শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চাচা-ভাতিজার ভোটযুদ্ধ

প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি মেম্বার প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মুরাদনগরের ২১টি ইউনিয়নের শতাধিক ওয়ার্ড। তারমধ্যে একটি ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ভোটযুদ্ধে নেমে চাচা-ভাতিজার মধ্যে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার টনকি উইনয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জুবেদ আলী লড়ছেন তালা প্রতীক নিয়ে। আর একই ওয়ার্ডে তারই ভাতিজা জানু মিয়া লড়ছেন মোরগ প্রতীক নিয়ে। টনকি ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডে মেম্বার পদে চাচা-ভাতিজার ভোটযুদ্ধ বেশ জমে উঠেছে। তবে অন্য প্রার্থীরাও আলোচনায় রয়েছেন। নির্বাচনের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে প্রচারণা আর কৌশল নিয়ে মেম্বার প্রার্থীদের ব্যস্ততাও বেড়েছে কয়েকগুণ। পাশাপাশি ভোটারদের সঙ্গে কুশলবিনিময়, দোয়া আর ভোট চাওয়ার মধ্যদিয়ে প্রচারণার শেষ মুহূর্তগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন প্রার্থীরা। মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানগুলোতে মেম্বার প্রার্থীদের নিয়েই বেশি আলোচনায় মগ্ন থাকেন সাধারণ ভোটাররা। আর ভোট আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে চাচা-ভাতিজার বিষয়টি। সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জুবেদ আলী এলাকার একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। জামায়াতের সকল কর্মকা-ের প্রতি তার সমর্থন থাকে। এলাকার সাধারণ মানুষ জুবেদ আলীর বিপক্ষে তারই ভাতিজা জানু মিয়াকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামায়। ব্যাস, টনকির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জমে উঠে চাচা-ভাতিজা ভোটের লড়াই। মোরগ প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী জানু মিয়া বলেন, ‘আমার নির্বাচন করার কোন ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আমার চাচা জুবেদ আলী একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হয়েও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াতেই ৬ নম্বর ওয়ার্ডবাসীদের রক্ষা করতে সচেতন সকলে সমর্থন দিয়ে আমাকে প্রার্থী করিয়েছে। আমি মনে করি বিতর্কিত ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধি হলে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন