রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পীরগাছায় বিদ্যুতের লোডশেডিং ও লোভোল্টেজে অতিষ্ঠ গ্রাহক

পীরগাছা (রংপুর) থেকে সরকার রবিউল আলম বিপ্লব | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

রংপুরের পীরগাছায় বকেয়া বিল আদায়ের নামে সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ঘন ঘন লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের আওতাধীন ৬০ হাজার গ্রাহক। এদিকে ঘন্টায় ৪০ বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পবিত্র রমজান মাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে রবিবার রাতে স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘন ঘন লোডশেডিং এবং বকেয়া আদায়ের নামে গ্রাহক হয়রানী বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তারা এখন পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় যেকোন সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে গ্রাহকরা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহকের জন্য সংযোগ লাইন ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে আলাদা আলাদা সংযোগ লাইন থাকলেও শুধুমাত্র কৈকুড়ী ও কান্দি ইউনিয়নে একটি সংযোগ লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই দু‘টি ইউনিয়নে ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। ওই সংযোগ লাইনটি ৪ নং ফিড হিসেবে পরিচিত। অন্যান্য ফিডের গ্রাহকরা দিনে গড়ে ৩-৫ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়লেও ৪ নং ফিডটি সর্বক্ষণ লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কবলে পড়ে থাকে। আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে ২৪ ঘন্টাই লোডশেডিং দেয়া হয়। আবার ঘন্টায় ৪০ বার লোডশেডিং দেয়ারও রেকর্ড রয়েছে। এছাড়া মাঝে মাঝেই কৈকুড়ী ইউনিয়নে বিদ্যুৎ রেখে শুধু মাত্র কান্দি ইউনিয়ন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখারও অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে রমজান মাসে বকেয়া বিল আদায়ের নামে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান শুরু করেছেন।
কান্দি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য প্রশান্ত কুমার মিশ্র জানান, ঘনঘন লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় গ্রাহক হাইফুল ইসলাম খান ইকবাল বলেন, রমজান মাসে বকেয়া বিল আদায়ের নামে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম(পর) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে নয় ৪নং ফিডটি দীর্ঘ ও গ্রাহক সংখ্যা বেশী থাকায় সমস্যা হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টির কারণে গাছের ডাল লাইনে পড়ছে। প্রতিটি ফিডে এসিআর চালু আছে তাই ডালপালা পড়লে সয়ংক্রিয় ভাবে লাইন বন্ধ হয়ে যায়। ইচ্ছা করে বন্ধ করা হয় না। তবে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম আব্দুল জলিল বলেন, পীরগাছায় কোন লোডশেডিং নেই। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ দিতে না পারায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
নুরুলইসলাম ২১ এপ্রিল, ২০২০, ৪:৪৮ পিএম says : 0
আমার বাড়ি কান্দি দিগটারী গ্রাম আমরা দিনে ৪ ঘন্টা কারেন্ট পাইনা আমরা গ্রাহক আমাদের নিয়ে লাভ কি আমাদের তো বিল বাকি নেয় তাহলে আমাদের অপরাধটা কি?
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন