আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দশ দলই এখন ইংল্যান্ডে। ইতোমধ্যে নিজেদের মত করে প্রস্তুতিও শুরু করেছে দলগুলো। চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ থেকে অনুশীলন ম্যাচ শুরু করতে তারা। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য দুটি করে অনুশীলন ম্যাচ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ব্রিস্টলে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। কার্ডিফে দক্ষিন আফ্রিকার মোকাবেলা করবে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ দুটি অনুশীলন ম্যাচে পাকিস্তান ও ভারতের মোকাবেলা করবে যথাক্রমে ২৬ ও ২৮ মে। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে কার্ডিফে।
লিস্টারশায়ারে পাঁচ দিনের ক্যাম্প শেষ করে এরই মধ্যে কার্ডিফে পৌঁছেছে টাইগাররা। অনুশীলন ম্যাচ শেষে হবে ২৮ মে। এক দিন পর আগামী ৩০ মে কেনিংটনের ওভালে শুরু হবে ক্রিকেট যজ্ঞ। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে দক্ষিন আফ্রিকা। কেনিংটনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২জুন বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।
এবারের আসরে ফেভারিট হিসেবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও উপমহাদেশের পরাশক্তি ভারত। পুনর্গঠিত অস্ট্রেলিয়াও হানা দিতে পারে এই দুই দলের শিরোপার লড়াইয়ে। তবে বাংলাদেশকেও জায়ান্ট কিলার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। দলটিকে হালকাভাবে না নেয়ার জন্য সতর্কও করে দিয়েছেন তারা।
গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ আসন্ন আসরে অন্তত সেমি-ফাইনালে খেলার লক্ষ্য স্থির করেছে। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ট্রফি অর্জনের মাধ্যমে দলটি তাদের আত্মবিশ্বাসকেও শানিত করেছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৭টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৭টিতেই জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। গত দেড় বছরের জয় পরাজয়ের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ৩৫ ম্যাচের মধ্যে ২৪টিতে জয় নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ৩৩ ম্যাচের ২২টিতে জয় নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।
এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার তুলনায় এগিয়ে রয়েছে টাইগাররা। যা বিশ্বকাপে ঐতিহাসিক সফলতা পাবার জন্য বাংলাদেশ দলকে দারুনভাবে প্রত্যয়ী করে তুলেছে। তরুণ আর অভিজ্ঞদের দারুণ সমন্বয়ে গড়া মাশরাফির দরকে ঘিরে তাই ভালো কিছুর আশা করা যেতেই পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন