শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বৃষ্টি এলেই ছুটি

রমাগঞ্জ তোফায়েলিয়া দাখিল মাদরাসা

ভোলা থেকে মো. জহিরুল হক | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ তোফায়েলিয়া দাখিল মাদরাসায় তেরপালের ছাউনি ও কিছু অংশ ছাউনিহীন অবস্থায় ক্লাস করতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। বৃষ্টি এলেই চলে যায় ছাত্র-ছাত্রীরা। ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়া।
গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেরপাল দিয়ে চালের ছাউনি ও কিছু অংশ ছাউনি বিহীন এলো-মেলো কিছু নির্মিত করা একটি মাদরাসা। যেন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থান। উক্ত মাদরাসার সুপার জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের লালমোহন উপজেলার শাখার সাধারন সম্পাদক মাওলানা মো. হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন এই এলাকায় কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। তারপর আলহাজ মাওলানা আবুল হাসেম সাহেবের উদ্যোগে ১৯৮৪ সনে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৯৪ ইং সনে এমপিও ভুক্ত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এ মাদরাসাটি নির্মিত হয়। প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই ভাল ফলাফলের মাধ্যমে লেখাপড়া চলে আসছে। কিন্তু ২০১৮ সালে ঝড়ের কবলে পরে মাদরাসাটি হেলে পরে। সে অবস্থায় ছিল।
গত ঘূনিঝড় ফনির আঘাতে মাদরাসাটি সম্পূর্ণ বিদ্ধস্ত হয়। তারপর শিক্ষকদের কিছু চাঁদা ও কিছু ধার দেনা করে বিভিন্নভাবে মাদরাসাটি তেরপাল দিয়ে রাখছি। কিন্তু বৃষ্টি এলেই ছাউনি না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের বই খাতা অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিজে যায়। ঠিকমত ক্লাস নেয়া যায় না।
মাদরাসা সুপার জানান, বর্তমানে উক্ত মাদরাসায় ৪৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এ বছরও দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আর্থিক অভাবে মাদরাসাটির নির্মাণের কাজ করতে পারছি না। তাই মাদরাসাটি নির্মাণের লক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরর প্রয়োজনীয় সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় অভিবাবক কৃষক আবুল বাসার জানান এখানে খুব ভাল লেখাপড়া চলছিল কিন্তু অবকাঠামো সংকটে ছাত্র ছাত্রীরা ঠিকমত পড়তে পারছে না।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল জানান রুমি বলেন, আমরা তালিকা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়েছি বরাদ্ধ পেলে কাজ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন