শিবচর (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এদিকে পুলিশ কর্মকর্তা মো: তালেব মিয়ার গুলিবিদ্ধের ঘটনা পুলিশের ভুলবশত গুলিতেই ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উত্তেজনা বিরাজ করায় এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, প্রায় এক সপ্তাহ আগে উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের ডাইয়ারচর গ্রামে খেলার সময় শিশুদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার বিবদমান মাদবর বংশের সাথে সরদার বংশের উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার রাতে এ নিয়ে পাঁচ্চর বাসস্ট্যান্ডের বিসমিল্লাহ মার্কেটে সালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি সুরাহার জন্য গত রোববার বেলা ১১টায় সালিশ বৈঠকের সময় নির্ধারণ করে। কিন্তু এর আগেই সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ ১১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময় এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে শিবচর থানার সেকেন্ড অফিসার মো: তালেব মিয়ার বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও সংঘর্ষে ইউপি সদস্য খোকন মাদবর, ছাত্রলীগ নেতা আসিফ বাবু, ব্যবসায়ী ফারুক সরদার, রাজন খান, খোকন শেখ, মনির সরদারসহ ১০ জন আহত হয়। এসময় একটি দোকান ও একটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে সেকেন্ড অফিসার তালেবসহ ৩ জনকে ফরিদপুর ও ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালকের মৃত্যু ছিনতাইকারী গ্রেফতার
মাদারীপুরের শিবচরে এক ভ্যানচালককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাই করার ঘটনায় আহত ভ্যানচালকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাঘিয়া গ্রামের দলিল উদ্দিন ঢালীর ছেলে ভ্যানচালক আব্দুস সালাম ঢালী (১৮) কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট থেকে বাড়ি ফিরছিল। সে বাংলাবাজার এলাকায় পৌঁছলে যাত্রীবেশে ৩-৪ ছিনতাইকারী দল তার ভ্যানগাড়ির গতিরোধ করে তাকে ঐ বাজারের একটি দোকানের পেছনে নিয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এসময় সালাম বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার কিছু সময় পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ঐ দিন মধ্যরাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিন পর গতকাল রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার রাতেই শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঐ দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের চর চান্দ্রা গ্রামের নানা হাশেম মল্লিকের বাড়ি থেকে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য বাদশাকে (২০) গ্রেফতার করে। আটককৃত বাদশা ঢাকার জুরাইন এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে বলে পুলিশ জানায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন