রোজাদারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক। প্রথম রোজা থেকেই অসহায়, দরিদ্র ও পথচারীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে চলেছেন তিনি। নগরীর পাঁচলাইশ থানার অদূরে নিজ কার্যালয়ের সামনে, চান্দগাঁও থানা ও খুলশী থানা ক্যাম্পাসে চলছে এ ইফতারির আয়োজন। অসহায়, দরিদ্র রোজাদারদের পাশাপাশি যানজটে আটকে পড়া লোকজনও শরিক হচ্ছেন এ ইফতারে।
প্রতিদিন তিনটি স্পটে প্রায় দেড়শ জন রোজাদার ইফতার সারছেন পরিতৃপ্তির সাথে। ছোলা, বেগুনি, পেঁয়াজু, জিলাপি, খেজুর ও শরবতের পাশাপাশি প্রতিদিনের ইফতারে থাকছে একটি করে মওসুমি ফল। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করে সবার নজর কাড়ার পাশাপাশি প্রশংসাও পাচ্ছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। রমজানের ইফতারে তিনি নিজেও শরিক হন। রিকশা, ঠেলাচালক, মজুরসহ সাধারণ মানুষের পাশে বসেন তিনি।
এমন আয়োজন কেন এ প্রশ্নের জবাবে বিজয় বসাক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রথমত সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমানোর জন্যই এ আয়োজন। তাছাড়া পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখেছি পবিত্র রমজানে হতদরিদ্র মানুষ ঠিকমতো ইফতারি করতে পারেন না। আবার যানজটসহ নানা কারণে রাস্তায় আটকে পড়া লোকজনও ইফতার করা নিয়ে বিপাকে পড়েন। সবচেয়ে বড় কথা হলো মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ইফতারের মতো সামান্য একটি আয়োজনের মধ্যদিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তিনি জানান, প্রথম রমজান থেকেই ইফতারের এ আয়োজন শুরু। শুরুতে রোজাদারের সংখ্যা কম থাকলেও দিনে দিনে তা বাড়তে থাকে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার এবং খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী তাকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন। ওই দু’টি থানাতেও অনুরূপ ইফতারের আয়োজন হচ্ছে। তিনি বলেন, অসহায় দরিদ্রদের পাশাপাশি যানজটে আটকে পড়া অনেক রোজাদারও আমাদের এ আয়োজনে সামিল হচ্ছেন। অনেকে আগ্রহভরে ইফতার করতে আসছেন। কেউ কেউ আবার এতই খুশি যে নিজের বাসায় রান্না করা ইফতার নিয়ে আমাদের সাথে শরিক হচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন