মাত্র এক সপ্তাহের প্রেমের ফাঁদে ফেলে নির্যাতন চালিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে প্রতারক চক্রের সদস্য উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী আলমগীর শিং (২৭)কে গ্রেফতার করেছে গফরগাঁও থানা পুলিশ। শীর্স সন্ত্রাসী আলমগীর শিংকে গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাগলা থানা পুলিশ ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের লাভনী আক্তার নামে এক তরুণী গত সোমবার বিকালে মোবাইলে ফোনে কথা বলে ওই রাত ৮ ঘটিকায় কান্দিপাড়া আব্দুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে প্রবাসী মা’য়ের সন্তান (১৭) জিসানকে দেখা করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। এর এক সপ্তাহ আগে মোবাইল ফোনে তাদের আলাপ ও পরিচয় হয়। জিসান রাত ৮ টার দিকে কান্দিপাড়া আব্দুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে যায়। জিসানকে আব্দুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে নেওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাভনীর সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর শিং, অনীক মিয়াসহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী জিসানকে লাভনীর সাথে দেখা করানোর কথা বলে কান্দিপাড়া বাজার সংলগ্ন অনীকের বাড়িতে নিয়ে একটি টিনের ঘরে জিসানকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁেধ বন্দি রাখে ।
প্রায় ২৮ ঘণ্টা জিসানকে এই টিনের ঘরে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁেধ মুখে কাপড় গুজে অকথ্য নির্যাতন করে মোবাইল ফোনে তার পরিবারের লোকজনের কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর মোবাইল ফোনে জিসানের মামা আনসারুল হককে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বুধবার রাত ১০ টার মধ্যে কান্দিপাড়া আব্দুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে যেতে বলে। আলমগীর আনসারুলকে হুমকি দেয় এ ঘটনা পুলিশ বা অন্য কাউকে জানালে তার ভাগ্নেকে খুন করা হবে। আনসারুল পাগলা থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে কান্দিপাড়া আব্দুর রহমান ডিগ্রী কলেজ এলাকায় যায়। সন্ত্রাসী আলমগীর টাকা নিতে আসলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা পুলিশ আলমগীরকে আটক করে। পরে পুলিশ আলমগীরকে সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে অনীকের বাড়ি থেকে জিসানকে উদ্ধার করে। অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জিসানের মামা আনসারুল হক বাদী হয়ে পাগলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পাগলা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আলমগীর শিং এর নামে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা ও একটি একটি মাদকের মামলা রয়েছে।
অনীকসহ অন্য আসামীদের নামে পাগলা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জিসানের বাড়ি ল²ীপুর জেলার আলেকজান্ডার উপজেলার রামগঞ্জ গ্রামে। সে উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে মামার বাড়িতে থাকে। তার মা খালেদা আক্তার প্রবাসী। তার পিতার নাম মো. জহির উদ্দিন। পাগলা থানার ওসি মো. ফয়েজুর রহমান বলেন বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন