বগুড়া বার সমিতির সদস্য এ্যাড. মো: সোহেল রানা (সজিব) কে বাড়ি থেকে থানায় তুলে এনে নির্যাতন করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার জেলা বগুড়ার দায়রা জজ আদালতে ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন এর ১৩ ও ১৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শহরের জলেশ^রীতলা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো: রওশন আলীর ছেলে এ্যাড. মো: সোহেল রানা (সজিব) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ০৪পি/২০১৯। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার বাদীর বক্তব্য শুনার পর বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্ত্তীতে আদেশ দিবেন বলে এজলাসে উল্লেখ করেন।
মামলায় আসামী করা হয়েছে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: বদিউজ্জামান ও একই থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) মো: জিলালুর রহমানকে। এদিকে আদালতে মামলা দায়ের হচ্ছে এ খবর পেয়ে বগুড়া সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্ত্তী, সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া বারের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় বসেন এবং আইনজীবী মো: সোহেল রানা (সজিব) এর সাথে অনাকাংখিত ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন এবং দায়েরকৃত মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সেই সাথে পুলিশ আইনজীবী নেতৃবৃন্দকে জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া বার সমিতির সভাপতি এ্যাড. আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. একেএম সাইফুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. আব্দুল মতিন, বার কাউন্সিলের সদস্য সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. রেজাউল করিম মন্টু প্রমুখ।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, জলেশ^রীতলা এলাকায় বাদীর নির্মানাধিন বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের জন্য বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে সাময়িকভাবে বালু রাখা হয়। ২৯ মে সকালে এস আই জিলালুর রহমান উক্ত বালু ১০ মিনিটের মধ্যে সরাতে বলেন। অন্যথায় বাদীকে গ্রেফতার করার হুমকি দেন। এ সময় বাদী নিজেকে আইনজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে হিসেবে পরিচয় দিলেও এস আই জিলালুর রহমান বাদীকে জোরপূর্বক তার মটর সাইকেলে তুলে নিয়ে থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে নিয়ে শারীরীক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন