ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরের কাছে বিচার দিয়ে জমি হারিয়েছেন আ.ন.ম মাকসুদুর রহমান নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক। বিচার না করে উল্টো ৩০ শতক জমি মেয়রের ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য করেছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা করে এলাকা ছাড়া হয়েছেন শিক্ষক আ.ন.ম মাকসুদুর রহমান। তাকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ায় তিনি আত্মগোপন করেছেন। কোটচাঁদপুর আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আ.ন.ম মাকসুদুর রহমান জানান, তিনি টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি না করে দেয়ায় বিক্রেতার বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের কাছে নালিশ দেন। বিচার পাওয়ার বদলে মেয়রের আপন বড় ভাই শরিফুল ইসলাম নালিসি ৩০ শতক জমি নিজ নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক আ.ন.ম মাকসুদুর রহমান শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জমি ফেরত পেতে গত ৬ জুন ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে হক সেবার মামলা করেন। মেয়রের ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ৪ লাখ টাকা। সে মোতাবেক উক্ত শিক্ষক ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে এ মামলা করেন। শিক্ষক আ.ন.ম মাকসুদুর রহমান জানান, ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর কোটচাঁদপুর ৬৩ নং মৌজার সাবেক ৬৮৬, হাল ২২৯ নং দাগের ৭৬ শতক জমি তিনি ও হুন্ডি আজিজ ক্রয় করেন। এতে দু’জনই সমান অংশীদার হন। পরবর্তীতে আব্দুল আজিজ ২০০৩ সালে তার নামের ৩৮ শতক জমি ৭৬ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে আ.ন.ম মাকসুদুর রহমানের কাছে বিক্রি করে। সে সময় কোটচাঁদপুর শহরের প্রতিষ্ঠিত ৩ ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম, হাজী রমজান আলী ও আব্দুল খালেকের উপস্থিতিতে আব্দুল আজিজ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা নেয়ার পর আব্দুল আজিজ জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে বিভিন্ন অজুহাতে বিলম্ব করতে থাকে। এ নিয়ে শিক্ষক আ.ন.ম মাকসুদুর রহমান কোটচাঁদপুরের মেয়র জাহিদুল ইসলামের শরণাপন্ন হন। সুযোগ বুঝে মেয়র আব্দুল আজিজকে ম্যানেজ করে তার বড় ভাই শরিফুল ইসলামের নামে এই ৩০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। এ ব্যাপারে মেয়র জাহিদুল ইসলাম পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তো আমি কিছুই জানি না। তাছাড়া কে কার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে তাও আমার জানা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন