আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রেমিকা হালিমা (১৬) বিষপানে আত্মহত্যা করার ১ মাস পর প্রেমিক শুভ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন নিহত হালিমার বাবা মকবুল হোসেন। মামলায় মকবুল হোসেন তার মেয়েকে আত্মহত্যার জন্য প্রেমিক শুভ ও তার পরিবারের লোকজন প্ররোচিত ও মারপিট করেছে বলে অভিযোগ করেন। উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের দিনমজুর মকবুল হোসেনের কন্যা হালিমা (১৬) এর সঙ্গে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের হারুণ অর রশীদের ছেলে শুভ (২০)’র। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১১ মে সকালে হালিমা প্রেমিক শুভর বাড়ীতে গিয়ে শুভকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুভ, তার ভাই সুমন ও সজল, চাচা ওহাব এবং পিতা হারুণ হালিমাকে চরিত্রহীনা বলে অপবাদ দেয় এবং মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। অপমান সইতে না পেরে হালিমা নিজ বাড়ীতে গিয়ে সবার অজান্তে বিষ পান করে। বিষ ক্রিয়া শুরু হলে বিষয়টি জানতে পেরে বাড়ীর লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হালিমা মারা যায়। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রভাবশালী শুভর পরিবার এলাকার কতিপয় মাতাব্বরকে ম্যানেজ করে ফেলে। তারা হালিমার পিতা মকবুলকে সঙ্গে করে থানায় নিয়ে যায় এবং মামলা হবে বলে তার কাছ থেকে কৌশলে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় বলে মকবুল অভিযোগ করেন। তারপর ময়না তদন্ত ছাড়াই হালিমার লাশ দাফন করে ফেলে। কিছু দিন অতিবাহিত হলে মকবুল যখন বুঝতে পারেন যে তার মেয়ের মৃত্যুর ব্যাপারে আসলে কোন মামলা মোকদ্দমা হয়নি। তখন তিনি নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উক্ত মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আড়াইহাজার থানা পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন। থানার ওসি বিষয়টি উপরিদর্শক (এস.আই) এনায়েতুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু গতকাল বুধবার পর্যন্ত পুলিশ কোন রিপোর্ট দেননি। এমনকি ঘটনাস্থলেই যায়নি। আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দারোগা এনায়েতুর রহমান জানান, আগামী আগস্ট মাসের ১০ তারিখের মধ্য প্রতিবেদনের সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন