পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতি ও কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে বাধা প্রদান ও ভোট কেন্দ্রে গোলাগুলির অভিযোগ এনেছে বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান বাবু। গতকাল সোমবার তার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে বলেন, সকাল ৭টায় তিনি তার নিজ কেন্দ্র চক্রশালা যুব কল্যাণ সংঘের ভোট দিতে গেলে তার ভোটারদের নৌকা প্রার্থীর লোকজন বাধা দেয়। এছাড়া সকাল ১০টায় পারিগ্রাম ফোরকানিয়া মাদ্রসায় ভোট কেন্দ্র দখল করে তার এজেন্ট নুর মোহাম্মদ, ইয়াছমিন, শারমিনকে বের করে দিয়ে ৪শ’ ব্যালেট পেপার বাহিরে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সীল মেরে দেয়। ৪নং ওয়ার্ড উদয়ন সংঘ কেন্দ্রে তার সামনে আ.লীগ নেতা তিমির বরণ চৌধুরী প্রকাশ্যে নৌকার ব্যালেট নিয়ে নৌকা প্রতীকে সীল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দেয়। এভাবে নৌকার লোকজন উত্তর শ্রীমাই ও দক্ষিণ শ্রীমাই কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সীল মারা হয়। বেলা ১টায় চক্রশালা মাতঙ্গিনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আ’লীগ নেতা এজাজ চৌধুরী, কাউন্সিলর গোফরান রানা উপস্থিত হয়ে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে ৩ শত ব্যালেটে সীল মারে। ফারুকীপাড়া সরকারী সিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সীল মারতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে নৌকার লোকজন গুলি চালালে গুলিতে সোহেল, মনসুর, রানা ও দিদার নামের বিএনপির ৪ জন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট ও পরে জেলা প্রশাসক উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়। মেম্বার প্রার্থী প্রবীর ভট্টচার্য্য অভিযোগ করেন, তার ভোটারদের মেম্বার প্রার্থী সুনীল দে লোকজন কেন্দ্রে যেতে দেয়নি। এমনকি তার নিজের ভোটটি নিজে দিতে পারেনি। বিএনপির প্রার্থী সকল কেন্দ্রে পুনঃরায় ভোটগ্রহণের জন্য পুনঃনির্বাচন দাবি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মেম্বার প্রার্থী প্রবীর কুমার ভট্টচার্য্য, আবদুল ছবুর, এজেন্টদের মধ্যে মোস্তাক আহমেদ, তৌহিদুল আলম, নুর মোহাম্মদ আজাদ, ইছহাক মিয়া, মুজিবুর রহমান ও উপজেলা মহিলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদিকা ও মহিলা মেম্বার সাজেদা বেগম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন