শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

রানীনগরে স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ নিয়ে শঙ্কা

আ.লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা

পঞ্চম দফায় নওগাঁর রানীনগর উপজেলার খট্টেশ্বর (রানীনগর সদর) ইউনিয়নে স্থগিত ৩টি ভোট কেন্দ্রে পুনরায় শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফা। একই সাথে স্থানীয় এমপি ইসরাফিল আলমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন, কেন্দ্র দখল, কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ভীতি প্রদান, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, পুলিশী হয়রানির অভিযোগও করেন তিনি। গত রোববার বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, ২৮ মে ভোট গ্রহণের দিন স্থানীয় এমপি ইসরাফিল আলমের নেতৃত্বে সরকার দলীয় প্রার্থী ও তার লোকজন, যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ আরো বেশ কিছু বহিরাগত অস্ত্রধারী পেটুয়া বাহিনী নির্বাচনী এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট কেন্দ্র দখলে নেয়। ভোট গ্রহণের সময় দুপুরে একে একে সন্ত্রাসীরা লোহাচূড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, সিম্বা ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখলে নিয়ে জাল ভোট দেয়। একই কায়দায় তারা আলামিন দাখিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিতে গেলে অন্যান্য প্রার্থীর প্রতিনিধিরা তাতে বাধা দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও প্রতিপক্ষের নির্বাচনী এজেন্টদের বেধড়ক মারপিট করে। আলামিন দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে কেন্দ্র দখলকারী স্থানীয় সাংসদের ভাতিজা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, রানীনগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহন ও সায়েম উদ্দীন নামে ৩ জনকে আটক করলেও পরে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। ঘটনার পরে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই তিন কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, এসব ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার লোকজন সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া আমাকে ও আমার বড় ভাই আ.লীগ সমর্থিত সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলালকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক দিয়ে জড়িয়ে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করার পাঁয়তারা চালানো এবং হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন