নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরওয়াপদা ইউনিয়নে ‘ফণি’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ২৩৫ পরিবারের মধ্যে প্রথম ধাপে ৫০ টি পরিবারের মাঝে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় সুবর্ণচরে চরওয়াপদা ইউনিয়নে ১ ওর্য়াডে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে নতুন ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়।
আব্দুল বারী বাবলু এর সঞ্চালনায় ও সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম ইবনুল হাসান ইভেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রসাশক তন্ময় দাস। অন্যন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চরজব্বার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা মো: সাহেদ উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমান জাবেদ, চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির আহমদ প্রমূখ।
এসময় প্রধান অতিথি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘরের চাবি তুলে দেন এবং বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানবতার সরকার। অতীতের মত তিনি জনগণের পাশে ছিলেন এবং পাশে থাকবেন। ভবিষ্যতে নোয়াখালীর উন্নয়নে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং আমরা তা রেখেছি। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য সকল সুবিধা ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম ইবনুল হাসান ইভেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সুবর্ণচরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ”যার জমি আছে ঘর নেই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মান” প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত উপকারভোগীদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। তন্মধ্যে, প্রথম ধাপে ৫০ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে বাকীদের ঘর হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র আঘাতে সুবর্ণচর ২৩৫ টি পরিবারের ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। এরপর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর ঘর নির্মাণের দায়িত্ব নেয় সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন