শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বাউরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ন টিনসেটে পাঠদান

ভোলা থেকে মো. জহিরুল হক | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ভোলার লালমোহন উপজেলার ১০৭ নং বাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো প্রায় ৩ বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন বরাদ্ধের কথা বলে ভেঙে নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি কোনো ভবন। তবে নতুন ভবনের অপেক্ষায় না থেকে একটি জরাজীর্ন টিন সেট ঘরের মধ্যেই চালানো হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। এতে নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ওই গ্রামে সরকারিভাবে নেই কোন ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। এক সময় বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনেই ছিল একমাত্র স্থানীয় জনসাধারনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয় নেয়ার স্থান। তাও নেই এখন।
কিন্তু ঝুঁঁকিপূর্ন দেখিয়ে ভবনটি ভেঙে নেওয়ার কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি ওই জায়গায়। তবে সরকারিভাবে ভবন নির্মাণ হবে এ আশায় রয়েছেন শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণির ২২ জনসহ ১৯৯ জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে বিপাকে রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বৃষ্টি হলেই শ্রেণি কক্ষে পানি পড়ে ভিজে যায় বই-খাতা এবং শিক্ষক মিলনায়তনের গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র ও আসভাবপত্র। আবার প্রচন্ড গরমে ঘরটির ভেতরে ক্লাস করাই হয়ে যায় দুসাধ্য। তখন খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান করাতে হয় শিক্ষার্থীদের। যার কারণে বিদ্যালয়ে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও। তবুও নানান সমস্যার মধ্যে ও নিয়মিত পাঠদানের চেষ্টা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বলেন, ২০১৫ সালে একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কথা বলে ভেঙে ফেলা হয়। তবে অন্য একটি ভবন ছিল তা ভালো থাকলেও উপজেলার একটি সিন্ডিকেট আমাকে ও সভাপতিকে না জানিয়ে ভেঙে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছেও গিয়েছি। তিনি লালমোহনের তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে বলে দেন অতি দ্রুত ভবনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু তিনি কিছু করার আগেই বদলী হয়ে চলে যান। আজ পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই কতৃপক্ষের, আমরা চাই কমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে শিক্ষার মান অগ্রগতির লক্ষ্যে কতৃপক্ষ যেন দ্রুত এ বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণের ব্যাবস্থা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আইয়ুব আলী বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি, খোঁজ খবর নিয়ে বলতে হবে। সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ বি এম খলিলুর রহমান বলেন, উপজেলা শিক্ষা কমিটি থেকে আগ্রাধীকার ভিত্তিতে রেজুলেশন করে আমাদেরকে অবহিত করা হলে আমরা দ্রুত নতুন ভবন নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন