সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাদক নির্মূলের মতো সমাজ সেবায় অগ্রণী

নিজ এলাকায় ডিজি জামাল উদ্দিন

চট্টগ্রাম ব্যুরো ও পটিয়া সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায় দেশকে মাদকমুক্ত করতে নিরলস কাজ করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোঃ জামাল উদ্দিন আহমদ। তার উদ্যোগে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত তৎপরতায় দেশে মাদকের ছড়াছড়ি অনেকটা কমে এসেছে। মরণ নেশা ইয়াবা নির্মূলে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। গত এক বছরে সাঁড়াশি অভিযানে দেড় শতাধিক শীর্ষ মাদক কারবারি র‌্যাব ও পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে। এতে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকে এ ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ফলে ৬০ ভাগ ইয়াবা ব্যবসা কমে গেছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে মাদকের বিস্তার ৯০ শতাংশ কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ইয়াবাসহ দেশে মাদকের ভয়াল বিস্তারের প্রেক্ষিতে সরকার ২০১৭ সালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমদকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি পদে নিয়োগ দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সচিব মর্যাদায় এ পদে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি মাদক নির্মূলে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজান, শূণ্যপদ পূরণসহ নতুন নিয়োগ দিয়ে লোকবল বৃদ্ধি করেন এবং তাদের যানবাহনের ব্যবস্থা করেন। এ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে শুরু হয় মাদকবিরোধী অভিযান।

জামাল উদ্দিনের বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া পৌর সদরের গোবিন্দারখীলে। তিনি পটিয়ার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন ওরফে কামাল কোম্পানীর পুত্র। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। সারাদেশের মতো পটিয়ায় মাদক নির্মূলে তিনি উদ্যোগ নেন। বেশ কয়েকবার প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিদের নিয়ে মাদক বিরোধী সমাবেশ করেন। এতে লোকজন সচেতন হয়। পটিয়ার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর বরিশাল কলোনীর ইয়াবা স¤্রাট খ্যাত বাইট্যা ফারুক র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এছাড়া ইয়াবা স¤্রাট কানা কামাল পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এতে পটিয়ার অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ইয়াবায় সংশ্লিষ্ট থাকায় পটিয়া থানার ওসি নেয়ামত উল্লাহ্্কে সম্প্রতি প্রত্যাহার, ১২জন অফিসারকে বদলী করা হয়।

তিনি মাদক নির্মূলে যেমন সাফল্য লাভ করেছেন তেমনি ৩২ বছর চাকুরী জীবনে সামাজিক কর্মকাÐে জড়িত হয়েছেন। সপ্তম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমে তিনি রাজশাহী বিভাগের সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুমিল্লার দাউদকান্দি, ল²ীপুরের রামগতি উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) পদে দায়িত্ব পালন করার পর ফেনী সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর নলছিটি, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি দিনাজপুর ও মেহেরপুরের ডিসির দায়িত্ব পালনের পর মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব ছিলেন। এর পর তিনি সিলেট বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন।

তার গ্রামের বাড়ী পটিয়ায় প্রতিষ্ঠা করেন ডায়াবেটিস হাসপাতাল। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি পটিয়ার সৃজনশীল সাহিত্য গোষ্ঠী মালঞ্চ, পটিয়া ফাইভ ষ্টার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পটিয়া শাহ্্ আমির উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা তিনি।

দৈনিক ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে সাম্প্রতিক কালে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ঘটে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা রয়েছে দেশকে মাদকমুক্ত করতে মাদকের ব্যবহার জিরোতে নামিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষে আমি কাজ করে যাচ্ছি। এতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন