রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বেড়াতে এসে লাশ হলো পোশাক শ্রমিক লাভলু

নীলফামারী থেকে সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নিজবাড়িতে লাশ হয়েছে লাভলু মিয়া (৩২)। অভিযোগ বিমাতা ভাইয়ের সঙ্গে বচসার সময় প্রতিপক্ষের হাতে লাভলু নিহত হয়। নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিন বাহাগিলি হাজ্বীপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় পুলিশ লাভলুর লাশ উদ্ধার। লাভলু মিয়া ওই গ্রামের মতিয়ার রহমানের প্রথম স্ত্রীর ছেলে ও ঢাকার একটি তৈরী পোষাক কারখানার সুপারভাইজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, ঈদের আগের দিন লাভলু ঈদ উদযাপন করতে নিজ বাড়িতে আসেন। লাভলুর বাবার দুই স্ত্রী। প্রথম পক্ষের সন্তান লাভলুরা ২ ভাই এক বোন। দ্বিতীয় পক্ষের রয়েছে ২ ছেলে ২ মেয়ে। গ্রামের বাড়িতে লাভলুর বাবা দুই মা ও ভাইবোনদের সঙ্গে এক বাড়িতেই থাকতো লাভলুর ছয় মাসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী সানজিদা খাতুন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ঈদের দিন সন্ধ্যায় লাভলু জানতে পারে তার বাবার নিকট হতে জোড়পূর্বক জমি লিখে নিয়েছে বিমাতার দুই ছেলে। ঘটনাটি সে রাতেই তার বাবার কাছ থেকে নিশ্চিত হয়। এরপর সে তার বিমাতা ভাই শামিমের কাছে জানতে চায় তারা দুই ভাই কেন বাবার কাছে জোড়পূর্বক জমি লিখে নিয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বচসা সৃস্টি হয়।
ঈদের দিন রাত ১১টার দিকে গ্রামে প্রচার পায় লাভলু মিয়া গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কেউ লাশ ঝুলতে দেখেনি। ঈদের পর দিন সকালে এলাকার প্রভাবশালীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে লাশ দাফনের চেষ্টা করে। কিন্তু লাভলু মিয়ার স্ত্রী খবরটি জানিয়ে দেয় তার বাবার বাড়িতে। সেখানে থেকে লোকজন এসে লাশ দাফনে বাধা দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
অভিযোগ উঠেছে লাভলুর সঙ্গে তার বিমাতা ভাই শামিমের বচসার এক পর্যায়ে শামিম লাভলুর গলা চেপে ধরায় তার মৃত্যু হয়। অপর দিকে বিমাতার ভাইরা বলছে লাভলু নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন আর রশীদ জানান ঘটনাটি রহস্যজনক। লাশের ময়না তদন্তের রির্পোট এলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন