শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সৈয়দপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

জাতীয় ফল কাঁঠাল। ফলের রাজা বলে সবার কাছে সমাদৃত। কাঁঠাল শুধুমাত্র একটি মৌসুমী ফলই নয়- সহায়ক খাদ্য ও অর্থকরী ফসল হিসেবে স্বকীয় গুণাগুনের কারণেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে। সৈয়দপুর ও তার আশেপাশে সর্বত্র এখন কাঁঠাল গাছগুলিতে ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেঁয়ে আছে। কোন কোন বাগানের আগাম জাতের কাঁঠালগুলি পাকতে শুরু করেছে। পাকা কাঠালের মিষ্টি গন্ধে কীট পতঙ্গরা ভিড় করছে গাছে গাছে। আর সেই আনন্দে বাগান মালিকরা গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত। এসময় বাংলার প্রিয় জাতীয় ফল কাঠালের মিষ্টি রসে চিড়া,মুড়ি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। উপজেলার হাট বাজার গুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। এখানকার অধিকাংশ কাঁঠাল গাছগুলো বাগান ভিত্তিক না হলেও বাড়ীর আঙিনায়, রাস্তার দু’ধারে, স্কুল, কলেজের চত্তরে প্রচুর কাঁঠাল গাছের দেখা মেলে। আর এসব গাছে ঝুলে থাকা কাঁঠলের দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ে। চারা লাগানোর পর সাধারনত এর কোন যতœ নেয়া হয় না। শুধুমাত্র গুরু- ছাগলের আক্রমন ও ঝড়ে যাতে ভেঙ্গে না পড়ে তার জন্য বড়জোর একটা খুঁটি ও খাঁচা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাঁঠালের চারা আপনা থেকেই বেড়ে উঠে। এককথাই অনাদর আর অবহেলায় বন-বাদারে বেড়ে উঠে ফলের রাজা কাঁঠাল।

অন্যান্য ফল ও গাছ নিয়ে সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ে যত তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় কাঁঠাল নিয়ে তার সিকি ভাগও হয়না। কোন কোন পরিবার ফল মৌসুমে কাঁঠাল বিক্রি করে সারা বছরের আয় করে। ২ থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম এসময় পাইকার ও শ্রমিক শ্রেনীর লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কাঁঠালের ভাল হয়েছে । তবে ফলন বেশি হলে দাম না পাওয়ার আশংকাও রয়েছে। কারণ বেশি ফলনে দাম পড়ে যাওয়ার রেওয়াজ আদিকালের। অভাবের কারণে অনেকে কাঁঠালের গাছ বিক্রি দিচ্ছে। আসবাবপত্র প্রস্তকারী ও ব্যবসায়ী এসব নামমাত্র মূল্যে কিনে ফায়দা লুটছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে গাছগুলো ফলে ফলে ভরে গেছে।
প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ফল ধরেছে। কৃষিপণ্য কাঁঠাল মুলত একটি মৌসুমী সুস্বাদু ফল। কাঁঠালের বিচি তরকারীতেও সমান জনপ্রিয়। এলাকায় কোন কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার বাবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবিলম্বে অত্র এলাকায় একটি কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থ›া গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন