সাত তলা নিমার্নাধীন ভবন থেকে পড়ে যাবার ৯ বছর পর হুইল চেয়ার পেলেন মো. জাফর। রোববার দুপুরে পৌরসভা চত্ত¡রে ভেলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম ব্যক্তিগত টাকায় হুইল চেয়ার কিনে জাফরকে চেয়ারে বসিয়ে তার হতে তা হস্তান্তর করেন। জাফর উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ছয় নাম্বার ওয়ার্ডের আকবরের ভিটা এলাকার মৃত আ. জলিলের ছেলে।
জাফর জানান, চেয়ার পেয়ে সে অনেক খুশি। এখন আর কষ্ট করে স্ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হবেনা। জাফর ঢাকায় নির্মান শ্রমিকের কাজ করত। ২০১০ সালের ৩০ জুন সকালে মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি সাত তলা ভবনে কাজ করার সময় হঠাৎ পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। এতে তার ডান পা ভেঙ্গে যায়। প্রথমে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নেন। ইনফেশনের কারণে চিকিৎসা দিয়ে তার পা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পরে এক মাসের মাথায় সাভারের সিআরপিতে ডান পা কেটে ফেলতে হয়।
জাফরেরা ৫ ভাই ৩ বোন। সবার আলাদা সংসার। মা রাজিয়া বেগমকে নিয়ে খেয়ে-না খেয়ে কোন রকমে তার দিন কাটে। জাফর আরো জানায়, মানুষের কাছে যাতে হাত পাততে না হয় এজন্য সে মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের কাজ শিখে। অনেক দোকানে ধর্ণা দিলেও কোন দোকানদার তাকে বসার জায়গা দেয়নি। সামান্য কিছু টাকার যোগার হলে সে বড়ির কাছের বাজারে ছোট একটা দোকান ঘর দিয়ে বসতে পারে। বারহানউদ্দিন পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মাসখানেক আগে জাফর তার অফিসে সাহায্যের জন্য আসে। ওই সময় স্ক্যাচ ভর দিয়ে অনেক কষ্ট করে দ্বিতীয় তলায় ওঠে। ওই সময় তার কষ্ট দেখে তাকে একটি হুইল চেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সমাজের বিত্তবানদের সামর্থ অনুযায়ী প্রতিবন্ধিদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন