শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রতনপুর-মধুরহাইল্যা কাঁচা রাস্তায় বাড়ছে দুর্ভোগ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) থেকে মো. রফিকুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মধুরহাইল্যা থেকে রতনপুর কাঁচা রাস্তাটির বেহাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় শিক্ষা, কৃষি ও ব্যবসাসহ অন্যান্য উন্নয়নও ব্যহত হচ্ছে। সীমাহীন দুর্ভোগ আর কষ্টে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনসাধারণ।

সরেজমিনে দেখা গেছে নাগেশ্বরী পৌরসভার মধুরহাইল্যা থেকে রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় খনাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন জায়গা হাঁটু কাদায় পরিণত হয়। কোনো যান চলাচল করতে পারে না। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত সোনইর খামার, রায়গঞ্জ, বোর্ডের বাজার, মাঝিটারী, আদর্শ পাড়া, মাস্টারপাড়া, মিনাবাজার, বড়বাড়ি, হাজির মোড়, মোল্লারভিটা, তেলিয়ানীর পাড়, সাপখাওয়া, নাগেশ্বরী পৌরসভার মধুরহাইল্যা, সরকারটারীসহ আরও অনেক এলাকার শহস্রাধিক জনসাধারণ চলাচল করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সকল প্রকার যোগাযোগ এবং জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বেহাল এই কাঁচারাস্তা। যা সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। অসংখ্য জায়গায় খানাখন্দক ও বিভিন্ন জায়গা দেবে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অপ্রশস্ত এবং কাদার কারণে যান চলাচলও বন্ধ প্রায়। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানালেও এর আশু কোনো ব্যবস্থা নেননি আগের এমপি কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী মিজানুর রহমান মিজান, এরশাদুল হক, মাসুদ জানায় রাস্তাটি দিয়ে সাপখাওয়া বাজার ও বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার একমাত্র পথ। বাজারে তাদের দোকান রয়েছে। বর্ষার দিনে তারা ব্যবসা করতে পারেন না। সন্তানরা স্কুলে ও মাদরাসায় যেতে পারেন না। সাপখাওয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ড. শেখ মো. নুর ইসলাম জানায় বাড়ি থেকে বাজার যাওয়ার রাস্তাটিতে অসংখ্য খনাখন্দক ও হাটু কাদা। গাড়ি নিয়ে চলাচল করা যায় না। তাই বর্ষায় ব্যবসা বাদ দিতে হয়। সাপখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান, রিফাত, লিপা, রাহাত জানায় এখন বর্ষাকাল। ভয়ে স্কুলে যেতে পারি না। ভালোভাবে বের হলে পিছলে পড়ে কাদা গায়ে বাড়িতে ফিরে আসতে হয়। গর্তে আটকে যাওয়া ট্রলি চালক মমিনুল ইসলাম বলেন, ভাই ছবি তুলি পত্রিকাত দিয়া কী কইরবেন? দেখেন না কাদোত পড়ি আটকি গেছি। হামার দুঃখ কষ্ট কাই দ্যাহে?

এছাড়াও স্থানীয়রা বিগত সংসদ সদস্যের প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করে বর্তমান সংসদ আসলাম হোসেন সওদাগরের হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন।
রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম আব্দুল্লাহ আল-ওয়ালিদ মাসুম বলেন, পথচারীর কষ্ট অনেক। রাস্তাটি পাকাকরণ না হওয়ায় অনেকদূর ঘুরে উপজেলা ও জেলা সদরে যেতে হয়। এতে করে খরচ দ্বিগুণ পড়ে। রাস্তাটি পাকাকরণ হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে।

এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বিগত বছর সাক্ষাতকারে বলেছিলেন রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য একটি প্রকল্পে ধরা আছে। অনুমোদন হলেই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। কিন্তু এবার বলছেন, এ রাস্তার ব্যাপারে নতুন কোনো খবর আমার কাছে নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন