বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রে সমান অধিকার, সমান মানবিক মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কিন্তু কল্পনা চাকমা অপহরণের মাধ্যমে দেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে আমরা তার মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছি। কল্পনা চাকমা অপহরণ দিবস উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, কল্পনা চাকমাকে উধাও করে দেয়ার মাধ্যমে একটি পুরো জনগোষ্ঠীকে উধাও করছি এ দেশ থেকে। সে সব জনগোষ্ঠীর মনোবল সাহস ও সংগ্রামী চেতনাকে নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন কল্পনা চাকমা আমাদের নারী আন্দোলনের অন্যতম প্রতীক হয়ে রয়েছে। এ দেশ অনুন্নত ধাপ পেরিয়ে উন্নয়নশীল ধাপে রূপান্তরিত হচ্ছে কিন্তু আমরা আজো সভ্য হয়ে উঠতে পারিনি।
ধানমন্ডির ২৭ এ অবস্থিত উইমেন্স’স ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডবিøউভিএ) মিলনায়তনে ‘কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৩ বছর: ন্যায় বিচারের দাবিতে ও মামলার বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য লুৎফুননেছা খান এমপি, বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী খুশী কবীর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখি দাশ পুরকায়স্থ, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, লেখক ও সাংবাদিক বিপ্লব রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য দীপায়ন খীসা, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা ও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাউই। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনিরা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সঞ্চালনা ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুণী ত্রিপুরা। এছাড়া বিভিন্ন অধিকার কর্মী, সাংবাদিক, নারী সংগঠনের প্রতিনিধি ও আদিবাসী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন