পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, অসামঞ্জস্য উন্নয়ন ক্যানসারের মত, আর্থিক উন্নয়নে আমরা ধনী হচ্ছি কিন্তু সভ্য হচ্ছি না যার ফলে নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট গতকাল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার রুমে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে আমরা তাদেরকে আবার একটি অনিরাপদ জায়গায় ঠেলে দিচ্ছি। বাল্যবিবাহ দেয়ার মাধ্যমে আমরা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছি। আজ আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলছি পক্ষান্তরে নারীকে তার নিজ ঘরে আটকে রাখার ইন্ধন দিচ্ছি, সেই জায়গা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভঙ্গি বদলাতে হবে।
এই আয়োজনে অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশ ওমেন নেটওয়ার্কের যুগ্ম সম্পাদক শেহেলা পারভিন (পুলিশ সুপার) বলেন - বিগত ১৬ বছরে পুলিশে নারীদের সংখ্যা ১শতাংশ থকে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। যা নারীদের সহায়তা প্রাপ্তিতে অবদান রাখছে, নির্যাতনের শিকার নারীরা মূলত নারী পুলিশের কাছেই মামলা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। তিনি বলেন দারিদ্রতা বা নিরাপত্তার অভাবই বাল্যবিবাহের কারণ নয় যৌতুকও বাল্যবিবাহের একটি প্রধান কারণ। তিনি উল্লেখ করেন গত ৪ বছরে যৌতুকের জন্য নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে।
আমরাই পারি জোটের নির্বাহী সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক বলেন - বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন নিয়ে আমরাই পারি জোট দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নিকাহ রেজিস্টার, ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এবং আইনজীবীরা বাল্যবিবাহের যে কারন গুলি তুলে ধরেন তারমধ্যে নকল জন্ম নিবন্ধন, ফটোকপি জন্মনিবন্ধন, মৌলভি দ্বারা বিয়ে পড়ানো, লুকিয়ে বিয়ে দেয়া যা আবার রেজিষ্ট্রি না করা, এফিডেভিট করা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততার উদাহরণ তুলে আনেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন