সুলতানা কামাল সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডেতে’ সাক্ষাতকার দেয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। এটি তার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ওই সাক্ষাতকারে তিনি গুম প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে দলটির অন্যতম মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও প্রতিবাদ জানিয়েছেন; এটিও তার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু এ নিয়ে দেশের কথিত পেশাজীবী সংগঠন, বুদ্ধিজীবী এবং বিশিষ্টজনদের ব্যানারে যেসব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তাতে মূলত ব্যক্তি রিজভীকে নিয়ে বিষোদগার ও আপত্তিজনক মন্তব্য করা হচ্ছে। যা অনভিপ্রেত, অরুচিকর। ইউট্যাব এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
তারা বলেন, মূলত সুলতানা কামালের সাক্ষাতকারের সমর্থনে বক্তব্য দিয়ে এসব তথাকথিত পেশাজীবী সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষেই সাফাই গাইছেন। সুতরাং সুলতানা কামালের বক্তব্যকে সমর্থন করার মানে হচ্ছে- দেশে যে, ফ্যাসিবাদ কায়েম রয়েছে তারই নামান্তর।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, সুলতানা কামাল গুম প্রসঙ্গে বিএনপিকে না জড়ালে এই ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই কারো ইন্ধনে বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। তার বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। আসলে তিনি গুম নিয়ে সরকারের নীতির পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। যা দুঃখজনক। সুলতানা কামাল গং এবং এসব পেশাজীবী সংগঠনের উদ্দেশ্য একটাই। আর সেটি হচ্ছে- অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন