শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

৪ মাস পর স্বামী গ্রেফতার

আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক সম্পা হত্যাকান্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দুলাভাই বাসায় আসায় স্ত্রীকে হত্যা
আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক সম্পা বেগমকে (৩০) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করলেও সম্পাকে তার স্বামী নিজেই হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পিবিআই। পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার ভোরে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরের মনোহরপুর থেকে পিবিআইর কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরানের নেতৃত্বে স্বামী বেলাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বেলাল জানিয়েছে- সম্পার বড় বোনের স্বামী (দুলাভাই) তাদের বাসায় আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে স্ত্রীকে হত্যা করে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সম্পা ও বেলাল খালাতো ভাই-বোন। পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। ঢাকার আশুলিয়ার ওই বাসায় তারা দেড় বছর ধরে ভাড়া ছিলেন। সম্পা একটি পোশাক কারখানায় এবং বেলাল মিয়া একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের পাঁচ বছর বয়সী তামান্না নামে একটি মেয়ে রয়েছে।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রæয়ারি আশুলিয়ার দুর্গাপুর উত্তরপাড়া সুলতান ভান্ডারীর বাড়ি থেকে সম্পার লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এই বাড়িতে সম্পা ও তার স্বামী বেলাল মিয়া ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রæয়ারি সম্পার বাবা সাইদুল মন্ডল আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে আশুলিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করে। এরপর ১২ মার্চ ঢাকা জেলা পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে বেলাল মিয়া শুরু থেকেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। পরে সম্পার পরিবারও ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে বিশ্বাস করেন। তাই তারা আর হত্যা মামলাটি চালাতে চাননি।

তবে মামলাটি ঢাকা জেলা পিবিআইতে আসার পর এটি তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআইর উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান। তিনি তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হন এটি হত্যাকান্ড। এরপর তার নেতৃত্বে ১১ জুন ভোর সাড়ে ৬টার দিকে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরের মনোহরপুর থেকে বেলালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সম্পাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সম্পার বড়বোনের স্বামী মিরাজ তাদের আশুলিয়ার বাসায় আসেন। পরে বেলাল বাসায় এসে মিরাজকে দেখতে পান এবং মিরাজ চলে গেলে বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সম্পার ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বেলাল। এরপর আত্মীয় স্বজনকে কল করে সে জানায়- সম্পা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে, এই ঘটনায় নিহত সম্পার বাবা হত্যা মামলাটি আর চালাতে রাজি নয় বলে পুলিশকে জানায়। তাদের ভাষ্য, বেলালের সঙ্গে সম্পার পরিবারের মীমাংসা হয়েছে। এছাড়া এ দম্পতির কন্যা ছোট্ট তামান্নার নামে দশ শতাংশ জমি দলিল করে দেওয়া হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন