সিলেট অফিস : সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ৫নং চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরশ আলী ক্ষমতার অপব্যবহার ও রিটার্নিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং কর্মকর্তার যোগসাজসে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. হারুন রাশীদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। গত সোমবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সাবেক দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন রাশীদ। তিনি উপজেলার চিলাউড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৮ মে নির্বাচনের দিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরশ আলী জোরপূর্বক প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনের ফলাফল কারচুপি করেছেন। নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টায় দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে ২৭ নং সমধল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। এ সময় আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. হারুন রাশীদের অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেনি। কেন্দ্রটি ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার জের ধরে থানায় এ বিষয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী জামাল আহমদ সাধারণ ডায়েরী করেন। এ ছাড়া ২৮ নং স্বজনশ্রী, ২৯ নং বাসুদেব স্বরন, ৩০ নং গোপরাপুর, ৩১ নং পঞ্চগ্রাম ও ৩২ নং বেতাউকা বিদ্যালয়ের কেন্দ্রগুলো নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরশ আলীর বাড়ির নিকটে থাকায় মো. হারুন রাশীদের নির্বাচনী এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে আরশ আলীর লোকজন বের করে দেয়। পরে তারা নিজেরাই ব্যালেট পেপারে সিল মেরে ভোট জালিয়াতি করে। ভোট জালিয়াতির বিষয় উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও রহস্যজনক কারণে নির্বাচন স্থগিত না করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. হারুন রাশীদের দাবি যে সব ভোট কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে সে সব কেন্দ্রে সঠিক তদন্তপূর্বক নির্বাচনের ফলাফল যাচাইক্রমে ২৮ মের নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন