খন্দকার আছাদুজ্জামান, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) থেকে : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এক্ষেত্রে বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। ইতিমধ্যে তারা প্রতীক নিয়ে প্রচারণায়ও নেমে গেছেন। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে আগামী ৪ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগের ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে তারা প্রচার-প্রচারণায় কোমর বেঁধে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। তাদের দাপটে দলীয় প্রার্থীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা জয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রায় সবরই প্রতীক আনারস। শুধুমাত্র একজনের প্রতীক চশমা। বিদ্রোহী প্রার্থীরা হচ্ছেনÑ জাংগালিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস ছাত্তার (আনারস), চরফরাদী ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মো. সোহরাব উদ্দিন (আনারস), বুরুদিয়া ইউনিয়নে মো. নাজমুল হুদা রুবেল (আনারস), পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বাচ্চু (আনারস), চন্ডিপাশা ইউনিয়নে মো. শামছুদ্দিন (আনারস) ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান (চশমা) এবং সুখিয়া ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক তোতা (আনারস)। উল্লেখ্য, যেসব প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তারা সবাই দলীয় তৃণমূলের ভোটে পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য প্রার্থীরা মাইক, পোস্টার, লিফলেটসহ বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় ইমেজসহ প্রার্থীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক ইমেজেরও অনেকটা কাজ করছে। বর্তমানে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচারণা বেশ তুঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটযুদ্ধে কয়জন টিকে থাকে তা দেখার জন্য নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন