শেরপুরের নকলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে নারী উদ্যোক্তা ডলি নামের এক অন্ত:স্বত্বা মহিলাকে গাছের সাথে বেধে রেখে নির্যাতন এবং গর্ভপাতের ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত জেলা পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সদর সার্কেল মো: আমিনুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে এঘটনায় এর আগে একই অভিযোগে সেকেন্ড অফিসার এসআই ওমর ফারককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১০ মে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রুপালী খাতুনের নির্দেশে চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ঢলিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে তার ভাসুর ও জা (ভাসুরের স্ত্রী)সহ ১০/১২জন। এতে ওই গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্টও হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এঘটনার পর পুলিশ নির্যাতিত নারী ঢলিকে উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর রহস্য জনক কারণে ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনার একমাসপর ১০জুন রাতে নির্যাতনের খন্ডিত ভিডিও চিত্র ভাইরালের পর নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ জুন বুধবার ৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা নিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে নাছিমা বেগম নামে এক নারী আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন