সম্প্রতি সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্নস্থানে এক ডজনেরও বেশী চুরির ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে এক ধরনের অজানা আতংক বিরাজ করছে। আর এসব চুরি ঘটনাগুলো বেশীর ভাগই দিনের বেলায় ঘটছে। তবে, আশ্চার্য্য হলেও সত্য এ সব চুরির ঘটনাগুলো বেশী সংঘটিত হচ্ছে কাটিয়া এলাকায়। যেখানে একটি পুলিশ ফাঁড়িও রয়েছে। আর শহরের বিভিন্ন স্থানে এ সব চুরির ঘটনায় সাধারণ জনগনের মধ্যে শহরের কাটিয়াসহ অন্য দুটি ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে কলেজ রোড এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে ঢুকে চোরেরা বাড়ির আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র নিয়ে গেছে।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া অজয় শীল জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে তার স্ত্রী যখন ঘুমাচ্ছিলেন এ সময় দুই চোর তার ভাড়া বাড়িতে ঢুকে থালা-বাসন ও আসবাবপত্র নেয়ার পর তার রুমে ঢুকে আলমারীর তালা ভাঙার সময় তার স্ত্রী টের পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় চোরেরা তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজয় শীল বাদী হয়ে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, এ নিয়ে তার এলাকায় সম্প্রতি মোট চারটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত ১৮ মে শনিবার সন্ধ্যায় মাগুরা কামারপাড়া এলাকার অনীল কুমার সাহার ছেলে অজয় কুমার সাহা পরিবার নিয়ে পাশে কীর্ত্তণ শুনতে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন তার জানালার গ্রিল কাটা। তারা বাড়ি না থাকার সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরেরা তার ঘরের আলমারি ভেঙে ১৪ ভরি সোনা, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ২৫টি শাড়ি চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগও করেছিলেন। এরপর গত ২০ মে সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা টিবি হাসপাতালে কর্মরত মধ্যকাটিয়া এলাকার শংকর শেখর তার পরিবার নিয়ে বাজারে আসেন। বাড়ি ফিরে দেখেন তার জালানার গ্রিল কেটে ৩ ভরি ওজনের সোনার চেইন, দুটি সোনার আংটিসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া ২১ মে রাতে শহরের নারকেলতলাস্থ রূপালী ট্রেডার্সের সার্টার কেটে ১৩ পিচ টায়ার, ৫ বালতি মবিল ৫০ পিস টিউব ও ১০০ পিচ রিং টেপ অজ্ঞাত চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ টাকা। সাতক্ষীরা শহরের প্রায়ই এ ধরনের বড় বড় চুরির ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। স্থানীয় এলাকাবাসী অবিলম্বে এ সব চুরির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪/৫ জন চিহ্নিত চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি আরো জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন