২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ভারসাম্যহীন বলে উল্লেখ করেছে গণদল। দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য নেই। বিশাল বাজেট, কিন্তু এই বাজেট গণমানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের উপর। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর মৌঁচাকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেটোত্তর যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলা চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বেকারত্ব দূর করতে কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে তিন কোটি যুবকের কর্মের সুযোগ হবে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। তিনি বলেন, এমনিতে সাধারণ মানুষে করের ভারে ন্যুজ্ব, তার ওপর আবারও নতুন করে করের বোঝা চাপানো হয়েছে। ভ্যাট আইনে নতুন সংযোজন আনা হয়েছে। ভ্যাট আদায়ে নিশ্চয়তা নেই। মধ্যম ও নিম্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ভ্যাটের চাপ নিতে হবে বেশি। এতে করে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে তৈরি হবে প্রতিবন্ধকতা।
বাজেট ঘোষণার সাথে সাথে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে অভিযোগ করে গণদল চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে। অথচ ১৩ জুন বাজেট ঘোষণা সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে। চিনি, ভোজ্য তেল, গুড়ো দুধ, তৈজষপত্রের দাম বাড়ানো হয়েছে। যা জনগণের জীবন-যাপনে বড় ধরনের আঘাত আনবে। অথচ এসব দেখার যেন কেউ নেই। অন্যদিকে দেশের প্রাণ কৃষক তাদের বাঁচাতে ধান ক্রয়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রণোদনা নেই। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন এখন আর বিলাসিতা নয়। এটি যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। তাই মোবাইল ফোনে কথা বলার উপর আরোপিত শুল্ক কর জনগণের পকেটে কাটা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গণদল চেয়ারম্যান বলেন, ঋণের বোঝা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে আগামীকাল যে শিশু জন্ম নেবে সেই শিশুটিও ৭০ হাজার টাকা ঋণ মাথায় নিয়ে জন্ম নেবে।
দলের মহাসচিব আবু সৈয়দের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শাহ আলম হাওলাদার, নুরুল কাদের চৌধুরী, জহিরুল আলম জহির, এড. মিজানুর রহমান, তাইফুর রহমান রুজি, মাওলানা নুরুল কাদের সিদ্দিকি, ডাঃ এনামুল হক প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন