রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চেয়ারম্যান মেম্বারের যোগসাজশে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাৎ

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাতাভোগীদের না জানিয়ে ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে তারা।

উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ খৃ. উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নে ৩০ জন প্রতিবন্ধীকে সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর আওতায় আনা হয়। সরকারি নীতমালা অনুযায়ী উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর নিকট ভাতার বই হস্তান্তর করার কথা থাকলেও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার প্রকাশ কুমার বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফারুক হোসেনের কাছে গত ২৯ মে ২০১৯ খৃ. সবকটি বই হস্তান্তর করেন।

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যান এস এম ফারুক হোসেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার অপু সরকার, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম ও বোয়ালমারী সোনালী ব্যাংক শাখার দুই কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল আলম ও মো. নজরুল ইসলামের যোগসাজশে ভাতাভোগী প্রতিবন্ধীদের না জানিয়ে ভুয়া লোক সাজিয়ে গত ৯ জুন ২০১৯ খ্রি. ব্যাংক থেকে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন।

৪নং ওয়ার্ডের ঘোষপুর গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী মো. মিরাজ হোসেনের স্ত্রী ফরিদা বেগম জানান, কামরুল মেম্বার প্রতিবন্ধী ভাতার বই করে দেয়ার কথা বলে দুই বছর আগে ২ হাজার টাকা নেয়। এখন পর্যন্ত ভাতার বই বা টাকা কোনটাই পাইনি।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধীদের তালিকা জমা দেয়া হয়েছিল। শুনেছি ভাতার বই চেয়ারম্যানের নিকট সমাজসেবা অফিস হস্তান্তর করেছে। ভাতা গ্রহিতা বই বা টাকা পেয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। ভাতার বই করে দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফারুক হোসেন বলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে বইগুলো গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যদের পৌঁছে দেয়া হয়েছে সুবিধা ভোগীদের দেয়ার জন্য। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনা ইউপি সদস্যদের অভিযোগ সঠিক নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন