শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

উপজেলা নির্বাচনে শেষ ধাপের ভোটে যারা জয়ী

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৯, ১১:৪১ এএম

পঞ্চম ও শেষ ধাপে মঙ্গলবার ২০টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের পাল্লাই ভারী। তিনটি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হলেও বাকি ১৭টিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ৯টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে জিতেছেন। বাকি আটটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

বিএনপিসহ বিরোধীদলগুরো এই নির্বাচন বর্জন করে।  ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকায় কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে অনিয়মের অভিযোগে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি নেতা) ভোট বর্জন করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় ১৫ জন। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফলে যেসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সেই উপজেলাগুলো হলো শেরপুরের নকলা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, মাদারীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও খুলনার ডুমুরিয়া।
আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা যে আট উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সেগুলো হলো- গাজীপুর সদর, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, নাটোরের নলডাঙ্গা, রাজশাহীর পবা, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, বরগুনার তালতলী ,সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ ও নেত্রকোনার পূর্বধলা। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ বন্দর, ফেনীর ছাগলনাইয়া ও নোয়াখালী সদর এ তিন উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আমাদের উপজেলা, জিলা ও ব্যুরো থেকে পাঠানো প্রতিবেদন-

বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেসব উপজেলায় জয়ী
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া
মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ (আনারস প্রতীক) ৪৭ হাজার ৬৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হোসাইন মোশারেফ সাকু (নৌকা প্রতীক) ২১ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সিফাত (টিয়া পাখি প্রতীক) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাসরিন জাহান (কলস প্রতীক) বিজয়ী হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের নারী প্রার্থী বিজয়ী
বিজয়নগরে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৩৩ হাজার ৪৭৬ ভোট পেয়ে এ জেলায় প্রথম কোনও নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাবিত্রী রানী নির্বাচিত হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ
কামারখন্দে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মতিন চৌধুরীকে ১১ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শহিদুল্লাহ সবুজ। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা সবুজ ঘোড়া প্রতীকে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হলেন।

খুলনার ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী এজাজ আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ২১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত গুটুদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ার (নৌকা) পেয়েছেন ৪৪ হাজার ২৫৯ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে গাজী আব্দুল হালিম (টিয়া পাখি) ও শারমিন পারভীন রুমা (কলস) নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজবাড়ীর কালুখালী
কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরে আলম সিদ্দিকি হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ৪৩৮ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. এনায়েত হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে মোছা. ডলি পারভীন বিজয়ী হয়েছেন।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী
রাঙ্গাবালীতে ১১ হাজার ৬৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. জহির উদ্দীন আহম্মেদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৭ ভোট।

মাদারীপুর সদর উপজেলা
এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) ওবাইদুর রহমান কালু খান (আনারস প্রতীক) ৬১ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজল কৃষ্ণ দে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৬৪ ভোট। ওবায়দুর রহমান কালু খান সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ভাই। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়া তালা প্রতীকে ৮৭ হাজার ৮৫৬ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নার্গিস আক্তার ৬৭ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

শেরপুরের নকলা
নকলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮ শ’ ৩৯। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৮শ’ ৮৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সারোয়ার আলম তালুকদার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদা ইয়াসমিন নির্বাচিত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী
কটিয়াদীতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৮৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানিয়া সুলতানা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩১৬ ভোট।
যেসব উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী

গাজীপুর সদর
গাজীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রীনা পারভীন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৬৫ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা ইজাদুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৮০৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজ উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ
নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রশীদ তালুকদার ইকবাল। তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৮৮ ভোট।

নাটোরের নলডাঙ্গা
নলডাঙ্গায় ১০ হাজার ৪৪ ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ১শ’ ৩৮ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আহমদ আলী শাহ পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮শ ৩৮ ভোট।

রাজশাহীর পবা
পবায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুনসুর রহমান। তিনি ৩৫ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আশরাফুল হক পেয়েছেন ৬ হাজার ৬১১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী আরজিয়া বেগম।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ
সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম সরকার লেবু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৫ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খয়বর হোসেন সরকার মওলা পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৬৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সফিউল ইসলাম ও মোছা. উম্মে ছালমা (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নির্বাচিত হয়েছেন।

বরগুনার তালতলী
তালতলীতে ২৮ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজবী-উল-কবির জোমাদ্দার। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টু পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৯৬ ভোট।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ
জামালগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আল আজাদ (মুক্তিযোদ্ধা) ৩০ হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৭৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোলাম জিলানী আফিন্দি রাজু এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বীণা রাণী তালুকদার বিজয়ী হয়েছেন।

নেত্রকোনার পূর্বধলা
পূর্বধলা উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৮৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাছুদ আলম টিপু পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৩৫ ভোট।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত যারা

নারায়ণগঞ্জ বন্দর
নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম রশিদ। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির সানাউল্লাহ ও শালিমার হোসেন শান্তা।

ফেনীর ছাগলনাইয়া
ছাগলনাইয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজবাউল হায়দার চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন । তিনি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এনামুল হক ও বিবি জুলেখা।

নোয়াখালী সদর
নোয়াখালী সদরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এ কে এম সামছুদ্দিন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটে নূর আলম সিদ্দিকী রাজু ও নিলুফা মমিন জয়ী হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ ও চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোট গ্রহণ হয়। প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ভোট বর্জন করেছে।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন