ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নটখোলা গ্রামে গঞ্জর খাঁ ও মোসা মোল্লা নামে দুই ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক। বুধবার বেলা ১২টার দিকে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোঃ মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি দুজন আসামী পলাতক রয়েছে। এদিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেয়ার সময় কৌশলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামী পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের পিপি এ্যাড. গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা জানান, গত ২০০৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় সালথা উপজেলার নটখোলা গ্রামে পিয়াজের জমি নিয়ে বিলোধের জের ধরে শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামী পক্ষ গঞ্জর খাঁ ও মোসা মোল্লাকে প্রকাশে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় আলাল মিনা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্ত করে পুলিশ ২৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। তিনি জানান, আসামীদের মধ্যে বিচার কার্য চলাকালে দুই আসামীর মৃত্যু হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অন্যদের মধ্যে ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। বাকি ১২ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
তিরি আরো জানান, মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মান্নান খা, সুরমান খা, মাজেদ খা, ওয়াজেদ খা, রাশেদ খা, সিদ্দিক ফকির, সোহরাব ফকির, আফসার ফকির, ফজলু ফকির, রহমান খা, রেজাউল খা, জিগির খা এবং ওসমান ফকির। এদের মধ্যে বিচার চলাকালে সোহরাব ফকির এবং জিগির খা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে মামলায় বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, টিটুল খা, ইকরাম খা, হাসেম মোল্লা, আক্কাস ছয়ারি, মিজানুর ফকির, শাহজাহান শেখ, ইদ্রিস খা, হারেজ ফকির, মজনু ফকির, ফারুক মিয়া, মুরাদ মিয়া এবং সালাউদ্দিন খা।
এদিকে পুলিশ হেফাজত থেকে এক আসামীর পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এফএম নাসিম জানান, আদালতে রায় ঘোষনার পর আসামীদের আদালত থেকে জেল হাজতে নেয়া হয়। এরই কোন এক সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত (আট নং) আসামী আফসার ফকির কৌশলে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন