বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়েছে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমানকে। বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টুকু ও সেলিমাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছে। আবার সমালোচনাও করছেন অনেকে। দিচ্ছেন নানা পরামর্শ।
এর আগে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হওয়ায় বিএনপির এই দুই নেতাকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারী আব্দুল কাদের লিখেছেন, ‘‘অভিনন্দন দুইজনকে। তবে আগামীতে আমরা আবদুল্লাহ আল নোমানকে স্থায়ী কমিটিতে দেখতে চাই।’’
শওকত আলী মন্তব্য করেছেন, ‘‘স্থায়ী কমিটির বাকী তিনটি পদে বীর মুক্তি্যোদ্ধা শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর হাফিজ, জনাব আবদুল্লাহ আল নোমান কে নিয়োগ দিয়ে তৃনমুলের মতামত গ্রহন করুন।’’
‘‘যেই তারেককে ধুয়ে দিলেন টুকু। সেই তারেকই টুকুকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করলেন। অপরদিকে রাশেদ খান মেননের বোনকেও অন্তর্ভুক্ত করলেন। হাস্যকর’’ আক্ষেপের সাথে কথাগুলো লিখেছেন মো. আসাদুজ্জামান লিঙ্কন।
ফেসবুক ব্যবহারকারী রতন ভুইয়া লিখেছেন, ‘‘নেএী জেলে যাওয়ার পর্যন্ত কোন দিন কেউ দেখেছে টুকু কোন একটা কথায় বলতে। এই ধরনের লোক কে কোন পদ না দিয়ে... বসালে ভালো হয়তো?..’’
বিএনপির সমালোচনা করে নেয়ামুল ইসলাম নাইম লিখেছেন, ‘‘যোগ্যদের পদায়ন না করে বিএনপি আরও ভুল করল।আব্দুল্লাহ আল নোমান ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এরা যোগ্য।’’
‘‘শুধু পদ নিয়ে অলংকার করে রেখে দিলে হবে না দেশ ও জাতির প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে হবে আর সব বাধা পেরিয়ে জনগনের সাথে কোন গাঁ ঢাকা ছাড়া ভয়হীন রাজনীতি করতে হবে । তবেই কর্মীরা ভয় পাবেনা আর যদি স্থায়ী কমিটির নেতারা ভয়ে লেজ গুঁটিয়ে থাকে তাহলে কর্মীরা উজ্জীবিত হবে না’’ মন্তব্য জুলিয়ার।
সেলিম খান লিখেছেন, ‘‘সংগ্রামী শুভেচ্ছা । ত্যাগী ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেতাদের সম্মানিত করলে সাধারণ কর্মীরা উৎসাহিত হয়।’’
এছাড়া ফেসবুকে আরও অভিনন্দন জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, মনির হোসাইন, আবু বকর সিদ্দীক, মোহাম্মাদ রফিকসহ অনেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন