করোনার সংক্রমণরোধে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল লঞ্চ ও বাস। কিন্তু তারপরেও থামানো যাচ্ছে না ঈদকে ঘিরে গ্রামমুখী মানুষের স্রোত। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
দূরপাল্লার যানববাহন বন্ধের পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে কর্মস্থলেই ঈদ পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে ফেরিঘাটে মাঠে নেমেছে বিজিবি।
সরকারি নির্দেশনা ও প্রশাসনের তৎপরতা কোনটাই যেন কোন কাজে আসছে না। অব্যহত রয়েছে গ্রামমুখী মানুষের স্রোত। বিশেষজ্ঞ মহলও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে করোনার ভারতীয় সংস্করণ আঘাত হেনেছে। চব্বিশ ঘণ্টায় ১৯ হাজার শনাক্ত মৃত্যু ১২৭। আমরা শপিং ও ঈদযাত্রার জন্য মরিয়া!’
শাহিনুর ইসলাম সোহাগ নামে এক লিখেন, ‘যেমন নাছোড়বান্দা পাবলিক তেমন সরকারের আজব সিদ্ধান্ত। এমন ঝুঁকি নিয়ে বাসায় না গেলে কি এমন ক্ষতি হবে? আর জনগন যেহেতু যাচ্ছেই তাহলে ফেরি কেন বন্ধ রেখেছে? গাড়ি চলতে দিচ্ছে আর ফেরিগুলো বন্ধ। করোনার কমানোর চেয়ে বাড়ানোর লক্ষে কাজ করছে সবাই। বুঝবে মজা যদি দেশে ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পরে।’
উদ্বেগ প্রকাশ করে কানিজ ফাতেমা লিখেন, ‘এ ফেরা যেনো শেষ ফেরা না হয়!’
সামিউন ইকবাল সামুনের পরামর্শ, ‘সরকার থেকে ঘোষণা দেওয়া হোক, যারা ঈদে ঢাকা ছাড়বে ঈদের পরে এক মাস তাদেরকে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং সেনাবাহিনী দিয়ে হলেও ঢাকায় প্রবেশ ঠেকানো হবে। তাহলে চাকরি হারাবার ভয়ে অন্ততঃ ৬০% মানুষ ঢাকা ছাড়বে না!’
ক্ষোভ প্রকাশ করে মাসুদ রানা লিখেন, ‘শেষ দেখা দেখার জন্য যাচ্ছে। এরপরতো সাদা কাপড় আর অক্সিজেনের জন্য এইভাবে দৌড়াবে। আগে থেকে দৌড়ানি শিখে নিচ্ছে!’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন