শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শিশু পাচার-নির্যাতন প্রতিরোধে সম্মিলিত কাজ করতে হবে

মতবিনিময় সভায় ডেপুটি স্পিকার

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

শিশু পাচার প্রতিরোধে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলোকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভেকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি। তিনি বলেছেন, শিশু পাচার ও শিশু শ্রম প্রতিরোধের পাশাপাশি শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এবিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। কমিউনিটি পার্টিসিপেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিডি) আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক মোসলেমা বারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এবং সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ও গেণ্ডারিয়া ঝর্ণা সরকার। মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী। সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, শিশু প্রতিনিধি মো, আরিফ, ইনসিডিন প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম খান, বিএনডব্লিউএলএ’র জান্নাতুল ফেরদৌস, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রগ্রামের লিমন ইসলাম ও সিপিডি’র শরিফুল্লাহ রিয়াজ।

সভায় ডেপুটি স্পিকার বলেন, শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমতার কারণেই সরকার বাংলাদেশে শিশু বাজেট বরাদ্দ করেছে। এরআগে কোন সরকার এধরণের বাজেট বরাদ্দ দেয়নি। শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের কল্যাণে সবসময় উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার বিধান করেছেন। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শিশুদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয় তা সঠিকভাবে সময়মত শিশুদের কল্যাণে যাতে খরচ হয়, সেজন্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।

সাবেক স্বরাস্ট্র মন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, নারী-শিশুসহ মানব পাচার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়টিকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের পাশাপাশি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে। এ কাজে সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা নিচ্ছে। এই কাজে সফলতার জন্য আমাদেরকে সুনাগরিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।

সভায় মূল প্রবন্ধে শিশু পাচার প্রতিরোধে আইন প্রণয়ের পাশাপাশি আইনের প্রয়োগে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। পাচার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ আদালত গঠন এবং সেই আদালতকে শিশু বান্ধব করার সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন