চাঁদা না পেয়ে যুবকের পায়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে আলোচনায় আসা সেই জালাল হোসেনকে (৩০) সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে নগরের খতিবের হাট এলাকা থেকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতার হওয়ার আগে নেছারুল হক নামের অপর এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন জালাল।
জালাল মূলত যুবলীগ নেতা এসরারুল হকের সহযোগী। এসরারুলের সহযোগিতায় জালাল ও তার দল নগরের চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ থানা ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ। নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসরারুল সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থনপুষ্ট বলে অনেকেই মনে করেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমাদের কাছে খবর আসে করোতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের ছোটপুল শাখার সহকারী ম্যানেজার নেছারুল হককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছেন জালাল ও তার দল। অভিযোগ পেয়ে রাতে খতিবের হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালাল ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল চান্দগাঁও থানার হাদু মাঝি পাড়া এলাকায় চাঁদা না পেয়ে আমজাদ হোসেন নামের এক যুবকের পায়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে দেন জালাল ও তার সহযোগীরা। এ সময় আমজাদের বাবা মো. আজিম ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদেরও মারধর করা হয়। পরে ২০ মে নগরের ইউনেস্কো সিটি সেন্টারের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ২ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগও উঠে তার বিরুদ্ধে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন