স্বাস্থ্য বিভাগের দ্বায়িত্ব পালনে সততা ও নিষ্ঠার কারনে উন্নতির শিখরে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: মো: আবুল কাশেম। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগে তিনি এখন সততার দৃষ্টান্ত।
জানাযায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড় ডাংরি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন ডা: মো: আবুল কাশেম। তাঁর পিতা মরহুম জমধর আলী ও মাতা মরহুমা জোবেদা বেগম। পরিবারে সান্নিধ্যে স্কুল জীবনের লেখাপড়া শেষে ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস পাশ করে ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারী মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে ১৯৯১ সালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় সুনামের সাথে ৭ বছর দ্বায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৮ সালে নান্দাইল উপজেলায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরে সেখানে দ্বায়িত্ব পালনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। এবং একই কর্মস্থলে দ্বায়িত্ব পালনকালে পুনরায় সহকারী পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৪ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকায় যোগদান করেন। সেখান থেকে ২০১৬ সালে বদলীয় হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক প্রশাসন হিসেবে সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়ে দেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে যোগদান করেন। এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে ফের পদোন্নতি পেয়ে ১ বছর ৮ মাস দক্ষতা ও সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন শেষে ২০১৯ সালের পহেলা এপ্রিল ময়মনসিংহ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।
সূত্র জানায়, অতীতে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগে বদলী বাণিজ্যের অভিযোগ থাকলেও ডা: মো: আবুল কাশেম পরিচালক হিসেবে যোগদান করার পর কোন কর্মকর্তা কর্মচারী বদলী বাণিজ্যের শিকার হননি। তবে সদর উপজেলায় কর্মরত ক্যাশিয়ার জহিরুল ইসলাম ভূইয়া এবং ফুলপুর উপজেলার মজিবুর রহমানকে বিভাগীয় কাজের স্বার্থে সাময়িক ভাবে প্রেষনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র জামালপুর হাসপাতালের কর্মচারী আব্দুল হান্নানকে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসানের নির্দেশে শেরপুরের ঝিনাইগাতী হাসপাতালে বদলী করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন