রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের নানা অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা

আগামী ৪ জুনের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী ডামাডোল এখন তুঙ্গে। চাটমোহরের হরিপুর, হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা, বিলচলন ও গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের বিশেষ করে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মরণপণ করে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এদিকে স্বতস্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা অনেকটাই আতঙ্কে রয়েছেন। নানা শঙ্কা আর আশঙ্কা কাজ করছে তাদের মধ্যে। ভোটাররাও আশঙ্কায় রয়েছেন ভোট দিতে যাবেন কিনা? নানান প্রশ্নের উদ্ভব হচ্ছে চাটমোহরের ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পদচারণা এখন তুঙ্গে। চাটমোহরের ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরাও ভোটের দিকে বেশ এগ্রিয়ে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে স্বতস্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা অনেকটাই আতঙ্কে রয়েছেন সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা তা নিয়ে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে বার বার অনুরোধ করছেন। ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীক প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীক প্রাপ্ত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রতিপক্ষের নির্বাচনী অফিস বা ক্যাম্প ভাঙচুর, হামলা করছেন, ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। নির্বাচনকে ঘিরে একদিকে উৎসব আমেজ অপরদিকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের এবং ভোটারদের মধ্যেও ভয়ভীতিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন দলীয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি, মারপিট, ভাঙচুরের ফলে ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারবে কিনা এ নিয়ে চলছে ভোটারদের মধ্যে গুঞ্জন আর উৎকণ্ঠা। এদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ হতে আশা ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, ব্যাটালিয়ন, আসনার সদস্য, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১১৫ জন বিজিবি এবং ৫০ জন পুলিশ সদস্য মাঠে রয়েছেন। কোথাও কোথাও বিএনপি এবং আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোট চাইতে বাধা প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী অফিস, প্রচার মাইক, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও মারপিটসহ নানা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এলাকায় সহিংসতা বেড়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী সহিংসতায় ইতোমধ্যে হরিপুর ইউনিয়নে ২টি মামলাও হয়েছে। দলীয় হাইকমান্ড থেকে আওয়ামী লীগের বিলচলন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোঃ আবুল কালাম আজাদ, হরিপুর ইউনিয়নে মোঃ মকবুল হোসেন, গুনাইগাছা ইউনিয়নে মোঃ নুরুল ইসলাম, ছাইকোলা ইউনিয়নে মোঃ নজরুল ইসলাম, হান্ডিয়াল ইউনিয়নে মোঃ রবিউল করিম মাস্টারকে মনোনয়ন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেনÑ উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নে মোঃ সাইদুল ইসলাম, আকতার হোসেন, হরিপুর ইউনিয়নে মোঃ আবুল কাশেম, গুনাইগাছা ইউনিয়নে মোঃ রজব আলী বাবলু, ছাইকোলা ইউনিয়নে মোঃ বোরহান উদ্দিন সরকার এবং হান্ডিয়াল ইউনিয়নে মোঃ জাকির হোসেন ও মোঃ গোলবার হোসেন। ইউনিয়নগুলোতে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছেন। একাধিক আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেনÑ বিলচলন ইউনিয়নে মোঃ সাইদুল ইসলাম, আকতার হোসেন ও হান্ডিয়াল ইউনিয়নে মোঃ জাকির হোসেন এবং মোঃ গোলবার হোসেন, ছাইকোলা ইউনিয়নে মোঃ বোরহান উদ্দিন সরকার ও মোঃ জহুরুল ইসলাম। এদিকে বিএনপিতেও ২টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ওই ২ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তারা হলেন হরিপুর ইউনিয়নে বাবুলুর রহমান এবং হান্ডিয়াল ইউনিয়নে আবু হানিফ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন