আবহাওয়ার উত্তাপের সাথে বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের হাট বাজার গুলোতে মশলা জাতীয় এসব পণ্যের ঝাঁজে দিশেহারা ক্রেতা।
দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ ও রসুনের উৎপাদন হয়। এছাড়াও ভারত, মিয়ানমার ও চীন থেকে এসব পণ্য প্রচুর পরিমাণে আমদানি সত্তে¡ও দাম বাড়ার পেছনে কোন সদুত্তর নেই কারো কাছে। হঠাৎ করে কেনো দাম বাড়ছে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বাজিয়ে চলছেন একি ভাঙা রেকর্ড মালের স্টক নেই, দামতো একটু বাড়বেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত রমজান মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত খুচরা পর্যায়ে দেশি রসুন ৪৫ থেকে ৬০ টাকা এবং পেঁয়াজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ২৫ রমজান পর্যন্ত উল্লেখিত মশলার দাম স্থিতিশীল ছিল। তারপর থেকেই বাড়তে থাকে দাম। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকা, দেশি রসুন ৮০ টাকা, চায়না রসুন ১৪০ টাকা এবং আদা প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। আড়তদাররা বলছেন, কোরবানী ঈদে মশলার চাহিদার কথা বিবেচনা করে গোডাউনে পণ্য স্টক করছেন। সেই সাথে সিÐিকেট করে আমদানীও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। মোট কথা পরিকল্পিতভাবেই বাড়ানো হয়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম । তবে অনেক ব্যবসায়ী আবার অজুহাত দেখাচ্ছেন ভারতে আদার দাম বাড়ার। যার প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। তবে দেশি পেঁয়াজ ও দেশি রসুনের দাম বাড়ার কোনো যুক্তি দেখাতে পারেননি তারা। ক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছরই কোরবানির আগে মশলার মূল্যবৃদ্ধি হয় এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। বিষয়টি মনিটরিং করা জরুরী। পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে ভারত, মিয়ানমার ও চীনে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের বাজার মূল্য যাচাই করে দ্রæত সরকারিভাবে আমদানীর ব্যবস্থা করা হলে সিÐিকেটের টনক নড়বে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন